সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার। তাইওয়ানের সীমানায় ফের অনুপ্রবেশ চিনের (China) লালফৌজের। পালটা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ তাইপেই প্রশাসনের। সব মিলিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে তাইওয়ান-চিনের মধ্যে।
এদিন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার ভোর ছ’টা নাগাদ তাইওয়ানের (Taiwan) সীমানায় চিনের যুদ্ধবিমান ও রণতরী দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান ও ৬টি রণতরী রয়েছে। বিমানগুলির মধ্যে ১০টি বিমান তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল।’
লালফৌজের এই অনুপ্রবেশের পর নিরাপত্তাবাহিনী গোটা পরিস্থিতি নজরে রাখছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ান প্রশাসন। এছাড়াও, এই ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য যুদ্ধবিমান, মিসাইল সিস্টেম, রণতরী প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবারও ১০টি চিনা বিমান ও ৫টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ানের ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েছিল। গত রবিবারও দ্বীপরাষ্ট্রের কাছাকাছি চিনের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ দেখা গিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: দিনে মাছি, রাতে পোকা! ‘ছেড়ে দিন’, জেল থেকে আর্তি ইমরানের]
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে বরাবরই চিন নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এসেছে। গত তিন বছর ধরে সীমান্তের কাছাকাছি চিন সামরিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছে তাইওয়ান। এর আগেও অনেকবার তাইপেই সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে জিং পিং প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আমেরিকার তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়েছে চিন। যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে বারবার প্রবেশ করছে লালফৌজের যুদ্ধবিমান। অন্যদিক, চিনকে প্রতিহত করতে তাইওয়ান পাশে পেয়েছে আমেরিকাকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘তাইওয়ান পলিসি অ্যাক্ট’ আনে আমেরিকা। তাইপেইকে দ্রুত সামরিক সাহায্য দিতেই আনা হয় এই আইন। এর ফলে চার বছরে তাইওয়ানকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার অস্ত্র দেবে মার্কিন প্রশাসন।