সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনেস্কো বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তাজমহলকে। কিন্তু স্বীকৃতি দিতে নারাজ খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাজমহল যে কোনওভাবেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, এমনটা সোচ্চারে একাধিকবার বলেছেন তিনি। এবার তাঁর বাজেটে হেরিটেজ সংস্কারের তালিকা থেকেও বাদ গেল তাজমহল।
[ বিজ্ঞাপনে বিকৃত বাংলা, এয়ারটেলের কানেকশন ছাড়লেন এই বাঙালি ]
সম্প্রতি প্রথমবার বাজেট পেশ করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তাতে হেরিটেজ সংরক্ষণ ও সংস্কারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে তালিকা থেকে আশ্চর্জজনকভাবে বাদ পড়েছে তাজমহল। সংস্কৃতি রক্ষার যে বিশেষ সেকশনের কথা ঘোষণা করেছে অর্থমন্ত্রক, সেখানে নেই ঐতিহ্যবাহী তাজমহল। অথচ রাজ্যের সংস্কৃতি রক্ষা, ঐতিহ্য সংরক্ষণ নিয়ে সরকার যে উদ্যোগী, তা বারবার করা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তাজমহলকে রাখা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই এসেছে ধর্মের প্রসঙ্গও। অনেকেরই অভিযোগ ধর্মের কারণেই বাদ পড়েছে তাজমহল।
[ অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলার প্রতিবাদে একজোট হিন্দু-মুসলিমরা ]
এর আগেও তাজমহল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর সাফ কথা ছিল, তাজমহল কখনও ভারতের প্রতীক হয়ে উঠতে পারে না। তাই কাউকে উপহার দিতে হলে তাজমহলের প্রতিকৃতি নয়, বরং উপহার দেওয়া হোক গীতা। তাঁর এই দর্শনের প্রভাবই বাজেটে পড়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। বস্তুত হিন্দু ও প্রভু রাম সম্পর্কিত বিষয়ে বাজেটে জোর দেওয়ার ফলেই জমেছে বিতর্ক। তবে কি মোঘল সম্রাট শাহজাহানের তৈরি বলেই ব্রাত্য হল তাজমহল? কিন্তু দর্শক টানার নিরিখে কোনও অংশে কম যায় না এই সমাধি সৌধ। সেক্ষেত্রে রাজ্যের পর্যটন উন্নত করতে হলে কেন তাজমহলকে গুরুত্ব দেওয়া হল না, তা বেশ বিস্ময়ের ব্যাপার। কদিন আগেই তাজমহলে বিশেষ কিছু ক্ষয়ক্ষতির কথা সামনে এসেছিল। সুতরাং এদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন ছিল বলেই মনে করছেন অনেকে। তা সত্ত্বেও এই উদাসীনতার পিছনে নিখুঁত ধর্মীয় সমীকরণ আছে বলেই তাই মত বিশেষজ্ঞদের। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজেশ মিশ্র জানিয়েছেন, হয় সরকার সমস্ত ধর্মীয় প্রসঙ্গ রাজ্য থেকে বাদ দিক। নয় সব ধর্মকে সমান গুরুত্ব দিক। কিন্তু এক ধর্মকে তোষণ মানে অন্য ধর্মকে অসম্মান করা। তা হওয়া বাঞ্ছনীয় বলেই মত অধ্যাপক-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনদেরও।
The post ধর্মের কারণেই যোগীর হেরিটেজ সংস্কার তালিকা থেকে বাদ তাজমহল? appeared first on Sangbad Pratidin.