সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকা পয়সা লেনদেনের জন্য রয়েছে সাধারণ ব্যাংক। রক্তের প্রয়োজন পড়লে তা মেটায় ব্লাড ব্যাংক। কিন্তু কখনও ‘গোট ব্যাংক’-এর নাম শুনেছেন? শুনতে অবাক লাগলেও মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আকোলা (Akola) জেলায় চালু হয়েছে এমনই এক ব্যাংক।
জানা গিয়েছে, সাঙ্গাভি মোহাদি গ্রামে ‘গোট ব্যাংক অব কারখেদা’ চালু করেছিলেন নরেশ দেশমুখ নামে ৫২ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। তিনি পাঞ্জাব রাও কৃষি বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন। তারপরই কৃষি নিয়ে কাজ শুরু করেন। তা করতে গিয়েই দেখেন, ছাগল লালনপালন করে গরিব ঘরের কৃষকরাও জমি কিনতে পারেন, শিশুদের পড়াশোনা করাতে পারবেন, এমনকী বিয়ের অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করতে পারেন। এরপরই তাঁর মাথায় চলে আসে অভিনব এই উপায়টি। আর যেমন ভাবা তেমন কাজ।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতের আত্মা’! মাথা ঠেকিয়ে লোকাল ট্রেনে প্রণাম যুবকের, ছবি দেখে মুগ্ধ নেটদুনিয়া]
এরপরই ওই গোট ব্যাংক চালু করেন নরেশ। এজন্য তিনি নিজের সেভিংস থেকে খরচ করেন ৪০ লক্ষ টাকা। কেনেন ৩৪০টি পূর্ণবয়স্ক ছাগল। তারপর প্রতিপালনের জন্য সেগুলোকে ঋণ হিসেবে দিয়েও দেন ৩৪০টি পরিবারকে। কিন্তু কোন নিয়মে এই গোট ব্যাংক থেকে ছাগল ধার করা যাবে? এই প্রসঙ্গে নরেশ জানান, তাঁর চালু করা ওই ব্যাংক থেকে কেউ লোন হিসেবে ছাগল নিতে চাইলে প্রথমে তাঁকে ১২০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি হিসেবে দিতে হবে। এরপরই তিনি ছাগল নিতে পারবেন। তবে রয়েছে একটি শর্তও। একটি ছাগল ঋণ নিলে ৪০ মাস পর দিতে হবে চারটি ভেড়ার বাচ্চা। নরেশের ধারণা, কোনও পরিবার একটি ছাগল ঋণ নিলে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবে।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই ব্যাংকের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এটা জানার পরই অনেকেই ওই ব্যক্তির এই কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সেনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে একমনে নাচে মগ্ন মায়ানমারের সাহসিনী! ভাইরাল ভিডিও]