সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) আবহে একেবারে ব্যতিক্রমী শারদোৎসব পালন করছে আমবাঙালি। অঞ্জলি থেকে প্রতিমা নিরঞ্জন সবেতেই রয়েছে বিধিনিষেধ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টাকির ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনও অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে মহাষষ্ঠীতেই মিলল সমাধানসূত্র। শর্তসাপেক্ষে টাকির ইছামতী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনে সায় দিল টাকি পুরসভা।
প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ টাকির (Taki) বিসর্জন দেখতে ভিড় জমান। অন্যান্য বছর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করে মহামিলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু চলতি বছর পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ববিধি মেনে চলাই সবচেয়ে বড় শর্ত। তাই টাকির ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা নিরঞ্জনেও বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থা এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে বারবার ছোট করে হলেও প্রতিমা নিরঞ্জনের আয়োজনের দাবি জানায়। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টাকি পুরসভার প্রশাসক বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকেই শর্তসাপেক্ষে প্রতিমা বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মহাষষ্ঠীর সকালেই বিপত্তি, হুগলি নদীতে স্নান করতে নেমে নিখোঁজ বালক]
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, বড় নৌকায় সর্বাধিক ২০ জন থাকতে পারবেন। ছোট নৌকায় সর্বাধিক ১৫ জন। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই মাস্ক বাধ্যতামূলক। মানতে হবে দূরত্ববিধি। ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জন সারতে হবে। তবে সেই সময়সীমার বিষয়ে এখন নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার আর ইছামতী নদীর ঘাটে কোনও মেলা বসবে না। তবে এবারও বিসর্জনে সামিল হতে পারবেন বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা। প্রতিবারের মতো এবারও নৌকায় উঠে বিসর্জন দেখতে পারবেন তাঁরা। তবে তাঁদের কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে।