সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেহাদি নেটওয়ার্কের মাঝখানে পাকিস্তান মাকড়সা! আর মাকড়সা নাকি কখনও নিজের জালে জড়ায় না। কিন্তু ইসলামাবাদের অবস্থা শোচনীয়। ‘মানসপুত্র’ তালিবদের কাবুল দখলে মদত দিয়ে এবার হাত কামড়াচ্ছে দেশটি। কারণ, তালিবান শাসনে তুঙ্গে পৌঁছেছে সংঘাত। দুই দেশের মধ্যে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ।
এবার অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে দুই পড়শি দেশ। মঙ্গলবার অবৈধ আফগান অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের কেয়ারটেকার সরকার। এই কাজের জন্য ১ নভেম্বর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বলে রাখা ভালো, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রায় ১০ লক্ষ ৭০ হাজার আফগান অভিবাসী রয়েছে। ইসলামাবাদের এহেন পদক্ষেপে রীতিমতো খেপে লাল তালিবান। প্রত্যাঘাতের হুমকিও দিয়েছে মোল্লা আখুন্দজাদার দল। বুধবার আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখে, ‘আফগান শরণার্থীদের প্রতি পাকিস্তানের এই আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।’
[আরও পড়ুন: রুশ গ্রামে আমেরিকার দেওয়া ‘নিষিদ্ধ’ ক্লাস্টার বোমা ফেলল ইউক্রেন!]
উল্লেখ্য, এর আগে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতে জড়ায় পাক সেনা ও আফগান তালিবান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি পৃথক ঘটনায় পাক সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের (Afghanistan) নিমরোজ ও নানগরহার প্রদেশে সীমান্ত বরাবর বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ। কিন্তু সেই ফেন্সিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেখানে মোতায়েন তালিবান সীমান্তরক্ষীরা। শুধু তাই নয়, বাধা দিলে পাক ফৌজিদের গুলি করারও হুমকি দেয় তারা।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। আর অতীতকাল থেকেই সেই সীমান্ত নিয়ে সংঘাত চলছে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও আফগান সরকার ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাক নীতিনির্ধারকরা মনে করছিলেন তালিবান ক্ষমতায় এলে তারা সেই স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিল জেহাদিরা।