সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দশকের গণতন্ত্র শেষে আবারও আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। জেহাদিদের রাজত্বে কার্যত গৃহবন্দি আফগান মহিলারা। তালিবানি জমানায় ফতোয়ার শিকলে বেঁধে ফেলা হয়েছে তাঁদের। স্কুল-কলেজ ও কর্মক্ষেত্রে আগেই মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিল তালিবান (Taliban)। এবার জেহাদিরা ফতোয়া জারি করেছে যে মহিলারা সিরিয়ালে অভিনয় করতে পারবেন না। এছাড়া, মহিলা সাংবাদিকদের হিজাব পরার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান।
[আরও পড়ুন: উইঘুরদের উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে চিন! প্রকাশ্যে নয়া ভিডিও]
সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছে তালিবান সরকারের ‘ধর্মীয় গুণাবলীর প্রচার এবং আধার্মিক আচরণের প্রতিরোধ’ সংক্রান্ত মন্ত্রক। ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, নাটক এবং সিরিয়ালে অভিনয় বন্ধ করতে হবে মহিলাদের। ইসলামি রীতি মেনে টিভি চ্যানেলের মহিলা সাংবাদিক এবং উপস্থাপিকাদের হিজাব পরার কথাও বলা হয়েছে।
বলে রাখা ভাল, গত অগস্ট মাসে কাবুল দখলের পর তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছিল যে শরিয়তি আইন মেনে মহিলারা কাজ করতে পারবেন। এর পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালিবান সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রধান এমানুল্লা সামাগনি বলেছিল, “শরিয়তি আইনের পরিধির মধ্যে থেকে যদি মহিলারা প্রশাসন ও সরকারে অংশ নিতে চান তাঁদের স্বাগত।” কিন্তু তালিবান যে আছে তালিবানেই তা এবার স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, আগেই কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে জেহাদি সংগঠনটি। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এহেন তালিবানি ফতোয়ায় মহিলাদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে বড়সড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দেশে। তারপরই স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে জেহাদি সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। নতুন করে শুরু হয় অন্ধকার যুগের। তারপর থেকেই আশঙ্কিত গোটা বিশ্ব। তালিবানি তাণ্ডবের বীভৎস চেহারা সারা বিশ্বকে দেখতে হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে রাস্তায় উন্মত্তের মতো ছুটেছে সাধারণ মানুষ। বিশিষ্টরাও বাদ যাননি। তারপর থেকেই চরম অর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তান।