সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban Terror) শাসিত আফগানিস্তানের পাশে পাকিস্তান ও চিন। একদেশ যেমন আফগান-মুলুকে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে। অন্য দেশ তেমনই গোটা বিশ্বকে আফগানিস্তানের (Afghansitan) সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দাবি জানাচ্ছে। আর তাদের এহেন আচরণে ‘মুগ্ধ’ তালিবান। বলছে, “চিন-ই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।”
চিন প্রসঙ্গে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদিন বলে, “চিনই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী এবং প্রকৃত বন্ধু। ওরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে চায়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে পুনর্গঠন করতে চায়।” আফগানিস্তানে রয়েছে তামার খনি। সেই তামার খনিকে বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে চিন (China)। পাশাপাশি চিনকে মাধ্যম করে গোটা বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছে তালিবানও। এদিকে আফগানিস্তান নিয়ে আগ্রহী পাকিস্তানও।
[আরও পড়ুন: ফের পঞ্জশিরে বেকায়দায় Taliban, মাসুদ বাহিনীর পালটা মারে এক রাতেই খতম ৭০০ জেহাদি]
শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) বলেন, “বিশ্বের উচিত আফগানিস্তান নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। মানবিকতার স্বার্থে আফগানিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করা দরকার। তবে বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সমস্যা সমাধান করা যাবে।” এ নিয়ে তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। মানবিক দিক থেকে আফগানিস্তানের সমস্যা সমাধানের পথ ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে তালিবান সরকার গঠনে সাহায্য করতে কাবুলে পৌঁছে গিয়েছেন আইএসআই প্রধান। সবমিলিয়ে এটা বলাই যায়, তালিবানের সঙ্গে চিন, পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। আর এই ত্রিকোণ সম্পর্ক যে ভারতের মাথাব্যথা বাড়াবে তা বলাইবাহুল্য।
আফগানিস্তানে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছে তালিবান (Taliban)। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। গোটা বিশ্ব জেহাদিদের হামলার নিন্দায় মুখর। তখন তালিবান জঙ্গিদের উদ্দেশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। বলে রাখা ভাল, গত জুনের ২৮ তারিখ তিয়ানজিনে নয় সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই প্রতিনিধি দলে ছিল তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর। চিন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আফগানিস্তানকে শামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুরোদমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে পূর্ব-এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে শিন জিনপিংয়ের প্রশাসন।