সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানের (Taliban) সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কি তলানিতে ঠেকেছে? তালিবানের মন্তব্য ঘিরে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে সেই জল্পনা। প্রকাশ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ‘আইএসআইয়ের (ISI) হাতের পুতুল’ বলে কটাক্ষ করল তালিবানের মুখপাত্র। তাদের অভিযোগ, আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে তালিবানকে উৎখাত করতে বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিও ঘিরে। তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে মাসুদ আহমেদের নেতৃত্বধীন ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট। তাঁদের দাবি, স্বাধীন আফগানিস্তান গড়ার লক্ষেই লড়াই চলছে। ভিডিও মেসেজে এনআরএফ জানায়, আফগানিস্তানের মানুষ চুপ করে থাকবেন না। লড়াই চালিয়ে যান যতক্ষণ না আফগানিস্তান স্বাধীন হয়। বিদ্রোহীদের হাতে ট্যাঙ্ক ধ্বংসকারী মিসাইল সিস্টেম এসে গিয়েছে বলে দাবি। তালিবানের সন্দেহ, পাকিস্তানের তরফেই এই অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: IPL 2022: বিদেশে নয়, চলতি বছর শর্তসাপেক্ষে আইপিএল হবে দেশের মাটিতেই!]
তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিনের কথায়, ইমরান খান (Pakistan PM Imran Khan) তো পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআইয়ের হাতের পুতুল। তারা আফগানিস্তান থেকে তালিবান সরকারকে উৎখাত করতে চায়। তাই বিদ্রোহীদের ক্রমাহত মদত দিচ্ছে। আর এই মন্তব্যকে ঘিরে বাড়ছে জল্পনা। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে।
প্রসঙ্গত, নিমরোজ প্রদেশের চাহার বুরজাক ডিস্ট্রিক্টে আফগানিস্তানের জমিতে অনুপ্রবেশ করে পাক ফৌজ। সেখানে একটি আউটপোস্ট তৈরি করার চেষ্টা চালায় তারা। স্থানীয় মানুষের দাবি আফগান সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার ভিতরে এসে ঘাঁটি গাড়ার চেষ্টা করে পাক জওয়ানরা। তারপর পাক সেনার কাঁটাতারে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করলএ তাদের আটকে দেয় ওই অঞ্চলে মোতায়েন তালিবান রক্ষীরা। এই ঘটনায় দুই পড়শি দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত যে আবার বাড়ছে তা স্পষ্ট।
[আরও পড়ুন: IPL 2022: বিদেশে নয়, চলতি বছর শর্তসাপেক্ষে আইপিএল হবে দেশের মাটিতেই!]
কয়েকদিন আগেও সীমান্ত নিয়ে সংঘাতে জড়ায় পাক সেনা ও আফগান তালিবান। পাক সীমান্ত লাগোয়া আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে সীমান্ত বরাবর বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করে পাকিস্তানি ফৌজ। কিন্তু সেই ফেন্সিং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় সেখানে মোতায়েন তালিবান সীমান্তরক্ষীরা। শুধু তাই নয়, বাধা দিলে পাক ফৌজিদের গুলি করারও হুমকি দেয় তারা। ওই ঘটনায় রীতিমতো বিপাকে পড়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রশাসন। বাধ্য হয়ে মুখরক্ষায় কাবুলের তালিবান প্রশাসনের কাছে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাত নতুন কিছু নয়। এবার তালিবানও স্পষ্ট করে দিল যে দুই দেশের সীমান্ত নির্ধারণকারী ডুরান্ড লাইন মানবে না তারা।