সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাদের ধ্বংস করতেই কাবুলিওয়ালার দেশে এসেছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র। হালকা বন্দুক থেকে হামভি, মাইন নিরোধক গাড়ি থেকে নাইট ভিশন চশমা সবই পেয়েছিলেন আফগান (Afghanistan) সেনাবাহিনী। কিন্তু মার্কিন সমর্থন সরে যেতেই তালিবানি ত্রাসের কাছে তাসের ঘরের মতে ভেঙে পড়ে সেই বাহিনী। ফলস্বরূপ সেই বিপুল অস্ত্রসম্ভারের মালিক এখন তালিবান (Taliban) জেহাদি সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবি, ভিডিও দেখে অন্তত তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর এবিষয়টি সামনে আসতেই অজানা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব।
আফগানভূমকে তালিবানমুক্ত করতে গত দু’দশক ধরে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে আমেরিকা (America)। সেই উদ্দেশে একদিকে আফগান সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তেমনই তাদের হাত শক্ত করতে জোগান দিয়েছে বহু অত্যাধুনিক অস্ত্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই দুই খাতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে আমেরিকা। যার বেশিরভাগটা দিয়েই কেনা হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সেনা পোশাক। ১৫ আগস্টের পর থেকে সেই অস্ত্র ভাণ্ডারের মালিক হয়েছে তালিবানরা।
[আরও পড়ুন: তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়ার হিড়িক, কাবুল বিমানবন্দরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৭]
সম্প্রতি সেই অস্ত্র নিয়ে তালিবান যোদ্ধাদের একাধিক ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনও দেখা গিয়েছে, তালিবানদের হাতে ‘স্মল আর্মস’ এম ৪ কার্বাইন, এম ১৬ রাইফেল। কিন্তু সেটা ছিল নিতান্ত ট্রেলার। এবার সামনে এসেছে হামভি-র উপর দাঁড়িয়ে তালিবানদের বিজয়োৎসবের ছবি। এমনকী, মার্কিন সেনার পোশাক চুরিরও অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মার্কিন সেনার পোশাক পরে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে জেহাদিরা। যদিও এই সমস্ত ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। কী কী মার্কিন অস্ত্র এসেছে তালিবানের দখলে?
[আরও পড়ুন: তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়ার হিড়িক, কাবুল বিমানবন্দরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৭]
পরিসংখ্যান বলছে, আফগানিস্তানে এসেছে ৬ লক্ষেরও বেশি বন্দুক বা রাইফেল জাতীয় অস্ত্র। মাইন নিরোধক অত্যাধুনিক গাড়ি এসেছে ৮০ হাজারেরও বেশি। এসেছে ৭ হাজার মেশিন গান। যে কোনও রাস্তায় চলতে পারে এমন ৪ হাজার ৭০০টি হামভি এবং ২০ হাজারের বেশি গ্রেনেডও সরবরাহ করেছে আমেরিকা। কিন্তু আফগান বাহিনীর পতনের পর সেই বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের মালিকানা তালিবানের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে বলে খবর। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে গোটা বিশ্বের।