সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধুমধাম করে মার্কিন সেনা (US Army) প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তি উদযাপন করল তালিবান। দেশের মাটি থেকে বিদেশি সেনাবাহিনী সরে যাওয়ার আনন্দে উদ্দাম সেলিব্রেশনে মাতলেন আফগান জনতা। বন্দুকের তোপ দেগে, আতসবাজি পুড়িয়ে এই দিনটি উদযাপন করা হল। যদিও ক্ষমতা দখলের পরে তালিবানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একধিক অভিযোগ রয়েছে, তবুও মার্কিন সেনা চলে যাওয়াতেই খুশি অধিকাংশ আফগান (Afghanistan) জনতা।
বিদেশী শক্তি থেকে ‘স্বাধীনতা’র উদযাপন করতে ইসলাম ধর্মের মন্ত্র লেখা সদা পতাকা ওড়ান হয় নানা সরকারি দফতর থেকে। একই সঙ্গে আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন- তিন দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে, এই মর্মে গোটা আফগানিস্তান জুড়ে ব্যানার লাগানো হয়। সেই সঙ্গে শূণ্যে গুলি ছুঁড়তে থাকে তালিবান যোদ্ধারা। ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে শহর জুড়ে গাড়ি চালিয়ে ঘুরে বেড়ায় তালিবরা (Taliban)।
[আরও পড়ুন: আগ্রাসী লালফৌজকে পালটা জবাব, চিনা ড্রোনকে গুলি তাইওয়ান সেনার]
দ্রুত আফগানিস্তান ছাড়তে গিয়ে বহু অস্ত্র ফেলে রেখে যেতে বাধ্য হয়েছিল মার্কিন সেনাবাহিনী। সেই অস্ত্র ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে তার ছবিও পোস্ট করেছে তালিবান। সেখানে বলা হয়েছে, “এইভাবেই আমরা মার্কিন সেনাকে দেশ থেকে উৎখাত করে দিয়েছি।” পূর্ববর্তী মার্কিন দূতাবাস ভবনের সামনে “আমেরিকা নিপাত যাও” স্লোগান দিয়েছে তালিবান। কাবুলের এক বাসিন্দা জালমাইয়ের মতে, “আল্লাহ আমাদের দেশ থেকে কাফেরদের বিতাড়িত করেছেন। ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তান। সেই জন্য আমরা খুবই খুশি।”
দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর পরে আমেরিকার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নেবে তারা। এই ঘোষণার পরেই ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তার পনেরো দিন পরে ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করে নেয় আমেরিকা। তারপর থেকেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাগাতার ভাবে বেড়ে গিয়েছে। যদিও তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, “আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা সরে গিয়েছে। যুদ্ধের কারণে আর মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না। গত এক বছরে নানা ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নতি করেছে আফগানিস্তান।”
[আরও পড়ুন: বুলডোজারের ভয় দেখাতেই খুলল দরজা! বিতাড়িত স্ত্রীকে স্বামীর ঘরে ফেরাল পুলিশ]