সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে তিন বছর। তালিবানের কাবুল দখলের তৃতীয় বর্ষপূর্তি হল বৃহস্পতিবার। আর সেই উপলক্ষে এদিন সকালে দেখা গেল জেহাদিদের কুচকাওয়াজ। রাজধানী কাবুলের পাশাপাশি কন্দহর থেকে জালালাবাদা কিংবা হেরাট- সেদেশের নানা শহরে রাজপথে নামল সাঁজোয়া গাড়ি। বহু তালিবানকে দেখা গেল মোটরবাইকে। কিন্তু এই উদযাপনের মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল সেখানে চিনা রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি। ছিলেন ইরানের রাষ্ট্রদূতও।
১৯৯৬-২০০১ সাল ছিল 'কাবুলিওয়ালার দেশে'র প্রথম তালিবান জমানা। ২০২১ সালে নতুন আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করে জেহাদিরা। ক্ষমতায় আসার পর যদিও তারা দাবি করেছিল এটা নতুন তালিবান, অচিরেই দেখা যায় তালিবান (Taliban) আছে তালিবানেই। শুরু হয় একই রকমের আগ্রাসন। বিশেষত নারী স্বাধীনতা চলে যায় তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে তালিবানকে বিশ্বের কোনও দেশই কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি। যদিও ২০২৪ সালে তালিবান সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়ে দেয় চিন। সেদেশের প্রশাসনের মতে, বিশ্বের প্রত্যাশাগুলো পূরণে আফগানিস্তান সচেষ্ট হবে। কাবুলের চিনা দূতাবাসে নয়া রাষ্ট্রদূত হিসাবে কূটনীতিক ঝাও শেংকে নিযুক্ত করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এবার তালিবানের বর্ষপূর্তিতেও বেজিংয়ের উপস্থিতি বুঝিয়ে দিল তাদের পাশেই রয়েছে চিন বা ইরানের মতো দেশগুলো।
[আরও পড়ুন: আর জি করে হামলার পিছনে রয়েছে বিজেপি-সিপিএম, বিস্ফোরক অভিযোগ পার্থের]
এহেন পরিস্থিতিতে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া ২০ বছরের মদিনা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ''তিন বছর হল এদেশে মেয়েদের স্বপ্নকে কবর দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই এদিনের উদযাপন আমাদের মনে করিয়ে দেয় কীভাবে আমাদের ভবিষ্যৎ, স্মৃতি, লক্ষ্যগুলি আদপে কেমন ছিল।'' তাঁরা এও বলছেন, এমন নয় তিন বছর আগে সব কিছু নিখুঁত ছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তা একেবারেই অভাবনীয়।