সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) বহুবিবাহ প্রথা নতুন কিছু নয়। শরিয়ত আইন মতে একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারে। ফলে তালিবান জঙ্গিদের অধিকাংশেরই একাধিক স্ত্রী রয়েছে। কিন্তু সংসার বাড়লে পাল্লা দিয়ে খরচও বাড়ে। তাই টানাটানির সংসারে ‘অকারণ ব্যয়’ রুখতে তালিবান যোদ্ধাদের একটার বেশি বিয়ে করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে সংগঠনটির আমির বা প্রধান হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ানকে বাঁচাতে প্রয়োজনে যুদ্ধে নামবে মার্কিন সেনা, এশিয়া সফরে চিনকে কড়া বার্তা বাইডেনের]
আফগানিস্তানের বখতার সংবাদ সংস্থা শনিবার জানিয়েছে, আপাতত তালিবান (Taliban) জঙ্গিদের একটার বেশি বিয়ে করা থেকে বিরত থাকর ফতোয়া জারি করেছে সুপ্রিম কমান্ডার আখুন্দজাদা। তবে আম আফগান বা দেশের সাধারণ মানুষকে এখনও এই ফতোয়ার আওতার বাইরে রাখা হয়ছে। এদিকে, আমিরের এহেন নির্দেশে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তালিবরা বলে খবর। কিন্তু সুপ্রিম কমান্ডারের নির্দেশ না মানলে কপালে ভয়াবহ শাস্তি জুটবে তা জেনেই সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়েছে জঙ্গিরা।
বলে রাখা ভাল, গতবছর ক্ষমতায় এসেই আফগানিস্তানের শরিয়ত আইন চালু করেছে তালিবান। সেখানে বলা হয়েছে, একজন পুরুষ চারটে অবধি বিয়ে করতে পারে। কিন্তু আমির আখুন্দজাদা তার নির্দেশে স্পষ্ট বলেছে- তালিবরা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিয়ে করতে পারবে না। এখানেই শেষ নয়, দেশের ‘আমর-উল মার-উফ’ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যোদ্ধারা এই নির্দেশ মানছেন কি না সে দিকে সতর্ক নজর রাখতে। নির্দেশ অমান্যকারীদের নাম-ধাম আমিরের দফতরে জানাতে হবে, যাতে তাঁর শাস্তি বিধান করা সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেও সদস্যদের একাধিক বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তালিবান। কারণ, তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে, বিয়েতে প্রচুর টাকা খরচ করলে বাইরে থেকে ও দলের অন্দরেও সমালোচনার ঝড় উঠতে পারে। যে সময় আম জনতা একবেলা খবরের সন্ধানে মরিয়া, সেখানে তালিব যোদ্ধাদের জাঁকজমক পূর্ণ বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বভাবিক। তাই জনমানসে সংগঠনের ছবি দৃঢ় করতেই এই নির্দেশিকা।