সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুল দখল করেই স্বমেজাজে ফিরেছে তালিবান (Taliban)। মহিলাদের বেত্রাঘাত থেকে শুরু করে মার্কিন ফৌজের সঙ্গে কাজ করা আফগানদের খুঁজে বের করে হত্যা করছে জেহাদিরা। তবে মুখে বদলা নয়, বদলের বার্তাই দিয়ে যাচ্ছে হায়বতোল্লা আখুন্দজাদার জঙ্গি সংগঠনটি। এবার আফগানিস্তানের (Afghanistan) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ও স্বঘোষিত ‘কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট’ আমরুল্লা সালেহকে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তালিবান।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: বাড়ি পুড়িয়েছে তালিবান, ভারতে আশ্রয় পেয়ে ধন্যবাদ আফগান মহিলার]
রবিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘Geo News’-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রবীণ তালিবান নেতা খলিলুর রহমান হাক্কানি। সেখানে প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, “প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি, প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ ও প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামদুল্লা মোহিবকে আমরা ক্ষমা করেছি। প্রতিপক্ষের সেনাধিনায়ক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যারা তালিবানের বিরোধিতা করেছে সবাইকে আমরা মাফ করে দিয়েছি। তারা দেশে ফিরতে পারে।” তবে তালিবানের আশ্বাসে মোটেও চিড়ে ভিজছে না। কারণ, তাঁকে হত্যা করবে তালিবান বলে আগেই দাবি করেছিলেন আশরফ ঘানি। আর পঞ্জশির থেকে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন আমরুল্লা সালেহ। তাঁর ও আহমেদ মাসুদের যৌথবাহিনীর মারে নিকেশ হয়েছে অন্তত ৮০০ জঙ্গি বলে খবর।
আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবান। তবে সমগ্র আফগানিস্তান তালিবানের (Taliban) দখলে এলেও পঞ্জশির এখনও হাতছাড়া। পঞ্জশির তালিবানের জন্য হয়ে উঠেছে দুর্গম ঘাঁটি। তা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তালিবরা। আত্মসমর্পণ না করলে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলার হুঁশিয়ারও দিয়েছে তাঁরা। ইতিমধ্যে ওই প্রদেশে হামলা চালাতে আরও তালিবান জঙ্গি পঞ্জশিরে পৌঁছেও গিয়েছে। তবে তৈরি নর্দার্ন অ্যালায়েন্সও। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষরাও কিন্তু সেই দলে যোগ দিতে শুরু করেছে।
দাবি করা হচ্ছে, বাগলানে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের হামলায় অন্তত ৩০০ জন তালিবান জঙ্গি নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজনকে বন্দিও করা হয়েছে। ইয়ালদা হাকিম নামে এক সাংবাদিক টুইট করে বাগলানের আন্দরাবে ৩০০ তালিবানের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। আমরুল্লাহ সালেহও এই হামলার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।