সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দুই দশকের গণতান্ত্রিক শাসনের পর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরেছে তালিবান। গোড়ার দিকে নিজেদের শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সময়ের সঙ্গে আরও কটু ভাবে নিজেদের স্বরূপ প্রকাশ করছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এবার গণতন্ত্রের শেষ প্রতীক মুছে নির্বাচন কমিশন বন্ধ করল ক্ষমতাসীন তালিবান (Taliban)। একইসঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আইনসভা বিষয়ক মন্ত্রকগুলিও। কারণ সেগুলির নাকি আর ‘প্রয়োজন নেই’।
[আরও পড়ুন: রাজকোষ গড়ের মাঠ, বিদেশি সাহায্য ছাড়া বাজেট তৈরি করতে হিমশিম খাচ্ছে তালিবান]
শনিবার তালিবানের মুখপাত্র বিলাল করিমি বলে, “নির্বাচন কমিশনের কোনও প্রয়োজন নেই। যদি কখনও আমাদের সেগুলির প্রয়োজন হয়, তখন ফের কমিশনগুলিকে কাজ শুরু করতে দেওয়া হবে।” বলে রাখা ভাল, ২০০৬ সালে তৈরি করা হয় ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইলেকশন কমিশন’ বা আফগান নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকে সেদেশে সমস্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কমিশনের তত্বাবধানে।
এই বিষয়ে আফগান নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন প্রধান ঔরংগজেব বলেন, “যদি এই পরিকাঠামো না থাকে আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত যে আফগানিস্তানের সমস্যার সমাধান কোনওদিন হবে না। কারণ, কমিশন না থাকলে দেশে কোনও নির্বাচনই হবে না।” মার্কিন মদতপুষ্ট পূর্বতন আশরফ ঘানি সরকারের প্রবীণ নেতা হালিম ফিদাই বলেন, “তালিবান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই এহেন পদক্ষেপ করেছে তারা।”
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট, ২০২১ কাবুলে প্রবেশ করে তালিবান। দুই দশকের ‘খোলা হাওয়া’র যুগ শেষে আফগানিস্তানের দখল নেয় জেহাদিরা। ৩০ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দর থেকে মার্কিন ফৌজের শেষ বিমানটি রওনা দেয়। বাকিটা ইতিহাস। ৯/১১ হামলার পর তালিবানকে কাবুলের মসনদ থেকে উৎখাত করতে আফগানিস্তানে হানা দিয়েছিল মার্কিন ফৌজের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী। প্রায় ২০ বছর ধরে চলা সেই লড়াই শেষে ১৫ আগস্ট আফগানভূম থেকে বিদায় নেয় শেষ মার্কিন সৈনিক।