সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) মহিলাদের বঞ্চনা নিয়ে তালিবানের (Taliban) নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল। কিন্তু তাতে যে জেহাদি শাসকদের কিছু যায় আসে না, তা ফের স্পষ্ট করে দিল তারা। জানিয়ে দিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ছাত্রীরা। আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল তারা। এই পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির পরীক্ষা নেওয়ার কথা। আর তার আগেই তালিবান জানিয়ে দিল, ওই পরীক্ষায় কোনওভাবেই বসতে দেওয়া হবে না মহিলাদের।
গত ডিসেম্বরেই তালিবান জানিয়ে দিয়েছিল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলারা নিষিদ্ধ। পরে জানা যায়, ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্তই পড়াশোনা করতে পারবে মেয়েরা। আর এবার তালিবানের শিক্ষামন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না মহিলারা। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিল, নারীর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা অগ্রাধিকার নয় তাদের। যা থেকে নতুন করে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, মেয়েদের স্বাধীনতা দিতে এক কপর্দক রাজি নয় জেহাদিরা।
[আরও পড়ুন: ‘BBC বিপজ্জনক, নিষিদ্ধ করা হোক’, দিল্লিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দপ্তরের সামনে পোস্টার হিন্দু সেনার]
২০২১ সালের আগস্টে নতুন করে আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবান আশ্বাস দিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। যারা নারী স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই কথা যে স্রেফ কথার কথা ছিল, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিনের মধ্যেই। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালেও মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অধিকার ছিল না। এছাড়াও পরকীয়া, চুরির মতো ঘটনায় প্রকাশ্যে বেত মারা এমনকী মেরে ফেলার ঘটনাও ছিল স্বাভাবিক। সেই বিষয়গুলিই নতুন করে কার্যকর হচ্ছে। যা বুঝিয়ে দিয়েছে তালিবান আছে তালিবানেই।
গত কয়েক মাসে ‘কাবুলিওয়ালার দেশে’ একের পর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে মহিলাদের উপরে। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মেয়েদের কাজ করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। এছাড়াও রাস্তায় একা চলাফেরা, বোরখা পরা নিয়েও কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে। সঙ্গে একজন পুরুষ না থাকলে পার্ক ও জিমেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।