সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান আছে তালিবানেই (Taliban)। ২০২১ সালের আগস্টে নতুন করে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করার পর তালিবান আশ্বাস দিয়েছিল, এটা তালিবান ২.০। সেটা যে স্রেফ কথার কথা, তার প্রমাণ মিলেছে আগেই। এবার যত সময় এগোচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে জেহাদিদের নিষ্ঠুরতা। ভরা স্টেডিয়ামে পরকীয়া ও চুরির মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্তদের বেত মারার ঘটনা আগেই ঘটেছে। এবার চুরির শাস্তি দিতে কেটে নেওয়া হল চারজনের হাত! আর তা স্টেডিয়ামে ভিড় করে দেখতে এলেন সাধারণ মানুষ।
কান্দাহারের আহমেদ শাহি স্টেডিয়ামে বিরাট জনতার সামনে হাত কেটে নেওয়া হয় ওই চার অভিযুক্তের। এদিন মোট ন’জন দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কেবল চুরি নয়, ‘বিকৃত’ যৌনতার অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, দোষীদের প্রত্যেককে ৩৫ থেকে ৩৯ বার চাবুক মারা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের তরফেই একথা জানানো হয়েছে। তবে হাত কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে কিছু বলা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘বাকি আর ৪০০ দিন, ভোটারদের কাছে পৌঁছতে হবে’, লোকসভার দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদি]
আফগান সাংবাদিক তাজুদেন সোরৌশ টুইটারে এই ‘নির্মমতা’র কথা জানিয়ে লেখেন, ‘এটা আর কিছুই নয়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। নব্বইয়ের দশকে তালিবানের জনসমক্ষে দেওয়া শাস্তির মতোই।’ গত ডিসেম্বরে খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছিল তালিবান। ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পরে ওটাই ছিল তাদের দেওয়া প্রথম প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড।
এই ধরনের শাস্তিদান অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসনের প্রথম পর্যায়ের কথা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালে পরকীয়া, চুরির মতো ঘটনায় প্রকাশ্য়ে বেত মারা, এমনকী মেরে ফেলার ঘটনাও ছিল স্বাভাবিক। সেই দিনই ফের ফিরল কাবুলে।
উল্লেখ্য, মেয়েদের উপর একের পর এক কঠোর সামাজিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে আফগানিস্তানে। ইতিমধ্যে তাদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়াগুলি জানাচ্ছে, বেশকিছু প্রদেশে বয়স ছয় বছরের বেশি হলে মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তালিবান সম্প্রতি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, নারী স্বাধীনতা কখনওই তাদের কাছে অগ্রাধিকার পাবে না।