shono
Advertisement

Taliban Terror: মার্কিন ফৌজকে ধোঁকা দেওয়ার গল্প শোনাল ‘ফ্যান্টম’তালিবান নেতা জাবিউল্লা মুজাহিদ

মার্কিন ফৌজের নাকের ডগায় কাবুলে ঘুরে বেরাত মুজাহিদ।
Posted: 03:21 PM Sep 13, 2021Updated: 03:21 PM Sep 13, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ হয়েছে আমেরিকার ‘মিশন আফগানিস্তান’ (Mission Afghanistan)। প্রায় দুই দশকের যুদ্ধ শেষে ৩০ আগস্ট কাবুল থেকে বিদায় নেয় মার্কিন ফৌজের শেষ বিমান। অত্যাধুনিক হাতিয়ার, প্রচুর টাকা ও খাতায় কলমে ৩ লক্ষ আফগান সেনাও তালিব রক্তবীজদের ধ্বংস করতে পারেনি। আর ওই সময় কীভাবে মার্কিন ও আফগান ফৌজকে ধোঁকা দিয়েছিল সেই কথা সগর্বে শোনাল তালিবান (Taliban) মুখপাত্র ও বতমন আফগান সরকারের ডেপুটি ইনফরমেশন মিনিস্টার জাবিউল্লা মুজাহিদ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: নতুন আফগান প্রধানমন্ত্রী আখুন্দের সঙ্গে বৈঠক কাতারের প্রতিনিধিদের, সাক্ষাৎ কারজাইয়ের সঙ্গেও]

প্রায় এক দশক পর রবিবার সংবাদমাধ্যমে মুজাহিদ জানায়, যুদ্ধের সময়ে কাবুলে আমেরিকা ও আফগান সেনার চোখে ধুলো দিয়ে তাদের নাকের ডগায় ছিল সে। তাও কিছুই করতে পারেনি তারা। বলে রাখা ভাল, তার নাম শোনা গেলেও সেই সময় স্বচক্ষে তাকে কেউ দেখেনি। কার্যত ‘ফ্যান্টম’ ওই তালিব নেতাকে পাকড়াও করার অনেক চেষ্টা করে মার্কিন ফৌজ। ‘The Express Tribune’ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুজাহিদ বলে, “সেই সময় আমেরিকা ও আফগানিস্তানের ফৌজ মনে করত আসলে আমার কোনও অস্তিত্ব নেই। আমি এতবার তাদের ফাঁদ কেটে পালিয়েছি যে তারা মনে করত আসলে জাবিউল্লা একটি কাল্পনিক চরিত্র।”

আবারও তালিবান-পাকিস্তান ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ্যে এনে মুজাহিদ জানায়, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওসেরায় হাক্কানিয়া সেমিনারিতে পড়াশোনা করেছে সে। ওই প্রতিষ্ঠান গোটা বিশ্বে তালিবান বিশ্ববিদ্যালয় নামেই পরিচিত। অনেকে আবার প্রতিষ্ঠানটিকে জেহাদের বিশ্ববিদ্যালয় বলেও অভিহিত করেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের কার্যনির্বাহী তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি থেকে শুরু করে জল ও বিদ্যুৎমন্ত্রী মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর, টেলিকম মন্ত্রী নাজিবুল্লা হাক্কানি, শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবদুল বাকি হাক্কানি প্রত্যেকেই ওই প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে বলে জানায় মুজাহিদ।

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে আফগানিস্তানের পাখতিয়া প্রদেশের গরদেজ জেলায় জন্ম হয় জাবিউল্লা মুজাহিদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সে জানায় তালিবানের প্রতিষ্ঠা মোল্লা ওমরের সঙ্গে কোনওদিন দেখা হয়নি তার। তবে জেহাদি সংগঠনটির দ্বিতীয় প্রধান মোল্লা আখতার মনসুর ও বর্তমান নেতা হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদার সঙ্গে নিয়মিট কাজ করেছে সে। তার খোঁজ পেতে স্থানীয়দের প্রচুর টাকা দিয়েছিল আমেরিকা সেনা। প্রচুর চর নিয়োগ করা সত্ত্বেও তাঁকে ধরতে পারেনি বলেই দাবি করে জাবিউল্লা।

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা নিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনার গোপন তথ্য গেল ISI-এর হাতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement