সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত আফগানিস্তানে (Afghanistan Crisis) চরম বিপদে পড়তে চলেছেন যৌনকর্মীরা। সূত্রের খবর মানলে, সেদেশের যৌনকর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করছে তালিবান। যৌন পেশার সঙ্গে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলেই তাঁকে হয় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে অথবা যৌনদাসী করে রাখা হবে।
শোনা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের কোথায় কোথায় যৌনকর্মীরা লুকিয়ে থাকতে পারেন, সেই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পর্ন সাইটগুলিতেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেখানে কোনও আফগান মহিলার ভিডিও থাকলে তাঁর নামও এই তালিকায় নথিভূক্ত করা হচ্ছে। যাঁরা বিদেশিদের সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হন, তাঁদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত। বাকি যৌনকর্মীদের পরিস্থিতি বিচারে হয় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, নয়তো যৌনদাসী করে রেখে দেওয়া হবে বলেই শোনা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: তালিবানের দখলে পঞ্জশির! ‘লড়াই চলছে’, বার্তা বিদ্রোহী নায়ক মাসুদের]
তালিবান (Taliban Terror) দ্বিতীয়বার আফগানিস্তান দখলের পর প্রশ্নের মুখে সেদেশের মহিলাদের নিরপত্তা। কট্টরপন্থী সংগঠন মুখে যতই নারীকে সম্মান দেওয়ার কথা বলুক, শেষ পর্যন্ত দু’দশক আগের সেই ভয়ংকর দিনগুলি যে ফিরবে এ ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত সকলে। তালিবানের কাছে নারীরা শুধুই ভোগ্য বস্তু এবং সন্তান উৎপাদনের মাধ্যম। এর থেকে বেশি কিছু নয়।
গত বছরও যখন কট্টরপন্থী এই সংগঠন ক্ষমতায় এসেছিল, তখন প্রকাশ্যে যৌন পেশার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের খুন করা হয়েছিল। এবারও তেমন আশঙ্কা করছেন অনেকে। আফগানিস্তানে তালিবানের রাজত্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। শরিয়ত আইনের নামে রীতিমতো দমন পীড়ন শুরু করেছে জঙ্গিরা। কিছুদিন আগে শুধুমাত্র আঁটসাঁট পোশাক পরার ‘অপরাধে’ এক মহিলাকে গুলি করে খুন করে জেহাদিরা। বোরখা পরতেও বাধ্য করা হয়েছে। যদিও তালিবানের এই তাণ্ডবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আফগান মহিলারা (Afghan Women)। তালিবানকে তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে শরিয়ত রীতিনীতি মেনে তারা বোরখা পরতে রাজি আছেন, তবে বিনিময়ে মেয়েদের স্কুলে যেতে দিতে হবে।