সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন শত্রুকে ধ্বংস করতে কি পুরনো শত্রুদের সঙ্গে হাত মেলাবে তালিবান (Taliban)? শনি ও রবিবার দোহায় মার্কিন-তালিবান বৈঠকের আগে জেহাদিদের তরফে উড়িয়ে দেওয়া হল সেই সম্ভাবনা। আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার পরে এই প্রথম সামনাসামনি বসতে চলেছে দুই প্রতিপক্ষ। বৈঠকের গতিপ্রকৃতির দিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বেরই।
তালিবানের দাবি, আইএসকে কাবু করতে আমেরিকার (US) সঙ্গে হাত মেলানোর কোনও প্রশ্নই নেই। সংবাদ সংস্থা এপিকে তালিবানের রাজনৈতিক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইএসের আক্রমণ যতই বাড়ুক না কেন, তাদের দমন করতে আমেরিকার সঙ্গে কোনও রকম সহযোগিতার পথে হাঁটবে না তারা।
[আরও পড়ুন:মহিলাদের লাল পানীয় সেবন, পিজ্জা খাওয়ার দৃশ্যে কাঁচি! টিভি শো নিয়ে নয়া ফতোয়া ইরানে]
গত শুক্রবারই কাবুলের মসজিদে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মারা যান অন্তত ১০০ জন। সেই হামলার পিছনেও রয়েছে আইএসই। গত কয়েক সপ্তাহে লাগাতার আইএস জঙ্গিদের একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে আফগানিস্তানে। তবে এই হামলার জবাব দিতে তারা নিজেরাই যথেষ্ট বলে দাবি তালিবানের।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। চুক্তি মতো আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয় ওয়াশিংটন। সেই পথেই হাঁটেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু আফগানিস্তান দখল করলেও সে দেশে সরকার গড়তে বেগ পেতে হচ্ছে তালিবানকে। গত সেপ্টেম্বর মাসে নির্বাসনে সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেন আশরফ ঘানি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ। তাঁর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করে আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র।
[আরও পড়ুন: আফগান মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করল ISIS, জেহাদের লড়াইয়ে রক্তাক্ত ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’]
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের উত্থান থেকে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা ভাবিয়ে তুলছে আমেরিকাকে। একই সঙ্গে সেদেশে রাশিয়া ও চিনের প্রভাবও এয়াশিংটনের চিন্তার কারণ। তাই সবমিলিয়ে, এবার তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসে কূটনৈতিক মঞ্চে কিছুটা হলেও হারানো জমি উদ্ধারের চেষ্টায় তৎপর হয়েছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে তালিবানের বক্তব্য অন্য সম্ভাবনা উসকে দিচ্ছে।
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, কোন কোন দেশ আফগানভূমে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে। এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই জেহাদিদের প্রশাসনকে মান্যতা দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে তালিবানকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে রাশিয়া (Russia)। ২০ অক্টোবর ওই বৈঠক হতে চলেছে। এবার আমেরিকার সঙ্গেও বৈঠকে বসতে চলেছে তালিবান।