সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) আছে তালিবানেই। গত আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান। এরপর থেকেই সেদেশের সাধারণ মানুষকে পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তির মুখে। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে আফগান নারীদের। জেহাদিরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আফগানিস্তানে মেয়েদের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই মঙ্গলবার আফগান প্রশাসন জানিয়ে দেয়, এবার সেদেশের মেয়েদের সেকেন্ডারি স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরই ভোলবদল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয় সমস্ত মেয়েদর স্কুল বন্ধই রাখতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জেগেছে কেনই বা হঠাৎ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত? আবার কেনই বা তড়িঘড়ি সেটা ফিরিয়েও নেওয়াও হল? সেপ্রসঙ্গে অবশ্য তালিবান কিছুই বলেনি। তবে জেহাদি সরকারের মুখপাত্র ইনামুল্লা সামানগানি জানিয়েছে, ”হ্য়াঁ, কথাটা সত্যিই।” এর বেশি কিছু অবশ্য সে বলেনি।
[আরও পড়ুন: আরও বেশি করে ঋণ দিন, অর্থনীতিতে গতি আনতে ব্যাংকগুলিকে পরামর্শ কেন্দ্রের]
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল দখল করার পর সেপ্টেম্বরেই মেয়েদের প্রাথমিক স্কুলগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেয় তালিবান। তবে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্তই। তার থেকে উঁচু ক্লাসে মেয়েদের আর স্কুলে যাওয়ার উপায় নেই। অবশেষে সেই ছবিটা বদলানোর খবর মিলেছিল। কিন্তু অচিরেই ফের অন্ধকার নেমে এল আফগান মেয়েদের জীবনের উপরে।
গত বছর কাবুল দখল করার পর তালিবান জানিয়েছিল, তারা বদলে গিয়েছে। এটা তালিবান ২.০। নতুন সময়ে দাঁড়িয়ে আফগান মহিলাদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। তাদের এহেন কথায় সকলেই বিস্মিত ও সন্দিহান হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দেখা গিয়েছে, তালিবান রয়েছে তালিবানেই। নতুন করে ফতোয়া জারি করা হচ্ছে মহিলাদের বিরুদ্ধে। যেহেতু বাকি বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে, তাই আপাতত ভাবমূর্তি শোধরাতে সচেষ্ট জেহাদিরা। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা গিয়েছিল তাদের। এরপরই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত। যদিও তারপরই ফের ডিগবাজি খেল জেহাদিরা। খুলতে না খুলতেই বন্ধ হয়ে গেল মেয়েদের স্কুলের দরজা।