সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে আটকে গেল তালিবানদের বিজয়রথ। পঞ্জশির প্রদেশে জেহাদিদের রুখে দিল সদ্য ভেঙে যাওয়া আফগান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর (Amrullah Saleh) বাহিনী।পঞ্জশির সীমান্তে সালেহ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পিছু হটতে হল জেহাদিদের।
পঞ্জশিরে প্রতিবাদীদের পতাকা।
পঞ্জশির (Panjshir) চিরদিনই তালিবানদের শক্ত গাঁট হিসাবে থেকে গিয়েছে। এর আগে ৯৬-এ যখন গোটা আফগানিস্তান প্রায় তালিবানদের দখলে, তখনও পঞ্জশিরে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছিল স্থানীয় নেতা তথা ভারতের বন্ধু আহমেদ শাহ মাসুদের বাহিনী। ২০০১ সালে আল-কায়দা জঙ্গিদের হাতে খুন হতে হয় আহমেদ শাহ মাসুদকে (Ahmad Shah Massoud)। কিন্তু তারপরও পঞ্জশির দখল করতে পারেনি তালিবানরা। উলটে, মার্কিন সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানকে তালিবান মুক্ত করার কাজে হাত লাগিয়েছিল আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের (Ahmad Massoud) বাহিনী। সেই মাসুদের বাহিনীই ফের আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তালিবানদের রুখে দিল। এবারও আফগানিস্তানের প্রায় ৯৮ শতাংশ দখল করে ফেললেও পঞ্জশিরে ফের আটকে গেল জঙ্গিরা। তালিবানরা কাবুলে ঢুকে পড়লেও কাবুল থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের এই প্রদেশ এখনও তালিবান মুক্ত।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: তালিবান আছে তালিবানেই, বোরখা না পরার ‘অপরাধে’ গুলি করে খুন মহিলাকে]
কাবুল (Kabul) হাতছাড়া হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি আফগানিস্তান ছাড়লেও ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ এখনও আফগানিস্তান ছাড়েননি। তিনি রয়েছেন পঞ্জশিরেই। গতকাল সেখানেই আফগানিস্তানের তালিবান বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সালেহ। তারপরই তিনি ঘোষণা করেছেন, ঘানির অবর্তমানে তিনিই আফগানিস্তানের কার্যকরী প্রেসিডেন্ট। এমনকী বুধবার পঞ্জশিরে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের পতাকাও উড়িয়েছে সালেহ বাহিনী। তালিবানদের পঞ্জশির প্রদেশে ঢুকতে না দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর সালেহ এবং মাসুদের বাহিনী। আফগানিস্তানের বাকি ভুখণ্ডে যখন তালিবানি রাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, মহিলাদের উপর নৃশংস অত্যাচার শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন পাহাড়-পর্বত অধ্যুষিত ছোট্ট এই প্রদেশটির বাসিন্দারা খানিকটা যেন স্বস্তিতে। সন্ত্রাসবাদীদের দখলে থাকা আফগানিস্তান যদি মরুভূমি হয়, তাহলে পঞ্জশির যেন মরুদ্যান।