সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। সম্পূর্ণ ভোল পালটে ভারতকে এমনটাই আশ্বাস দিয়েছে তালিবান। গত সপ্তাহে কাবুলে তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। সেখানে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কোনও তৃতীয় দেশের উপরে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানায় আখুন্দজাদার দল।
সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে কাবুলে তালিবানের সঙ্গে বৈঠকে বসে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন আফগান-পাক বিশেষজ্ঞ তথা প্রবীণ কূটনীতিক জে পি সিং। তালিবানের তরফে উপস্থিত ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুব, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি-সহ শীর্ষ আধিকারিকরা। ওই বৈঠকে তালিবান আশ্বাস দিয়েছে যে প্রমাণ পেশ করলে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদের মতো পাক জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর রাশ টানা হবে। পাশাপাশি, আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তালিবান।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাশাসক পারভেজ মুশারফের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত মে মাসে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে আলোচনায় বসে চিন, রাশিয়া, ভারত, ইরান, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তান। ওই বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল অনুরোধ জানিয়েছিলেন যে, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী যাতে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বজায় রাখতে না পারে। এর ফলে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থায়িত্ব বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ডোভাল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একটি রিপোর্টে রাষ্ট্রসংঘ জানায়, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবাকে আফগানিস্তানে মদত দিচ্ছে তালিবান। রাষ্ট্রসংঘের ‘তালিবান স্যাংশনস কমিটি’ তথা ‘সিকিউরিটি কাউন্সিল কমিটি’র মনিটরিং টিমের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তালিবান (Taliban)। আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে জইশের আটটি ট্রেনিং ক্যাম্প রয়েছে। তারমধ্যে তিনটি সরাসরি তালিবান নিয়ন্ত্রণ করে। কুনার ও নানগরহারেও এমনই তিনটি প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে লস্করের। ফলে তালিবানের আশ্বাসে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।