সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) শাসক হিসেবে তালিবানকে (Taliban) আজ পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি রাষ্ট্রসংঘ। দু’দশক আগের তালিবান জমানার মতোই এবারও একই পথে হেঁটেছে রাষ্ট্রসংঘ। এদিকে নতুন করে আফগানিস্তান দখলের পর বিশ্বের কাছে ‘পাত্তা’ পেতে মরিয়া তালিবান। আর তাই এবার রাষ্ট্রসংঘের (UN) অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আরজিও জানাল জেহাদিরা।
এই সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে চায় তালিবান। তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুত্তেরেসকে সোমবারই এই আরজি জানিয়ে চিঠি লিখেছে। সেই চিঠিতে দোহার তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিনকে আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দিতে আরজি জানাতে দেখা গিয়েছে আমির খানকে।
[আরও পড়ুন: ‘নেপালের সংবিধান গ্রহণে বাধা দিয়েছিলেন মোদির দূত জয়শংকর’, ফের বোমা ফাটালেন ওলি]
গুত্তেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক ওই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে জানিয়েছেন, তালিবানের আরজি সদস্য ৯টি দেশের কমিটির কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কমিটিই ঠিক করবে, তালিবানকে রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দিতে দেওয়া হবে কিনা। প্রসঙ্গত, ওই কমিটিতে রয়েছে রাশিয়া, চিন, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশ।
কিন্তু সত্য়িই কি তালিবানকে দেখা যাবে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন সম্ভাবনা নেই। কেননা আগামী সোমবারের আগেই ওই অধিবেশন হওয়ার কথা। তার মধ্যেই এই সম্মতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে যদি শেষ পর্যন্ত তালিবান ওই অধিবেশনে আসার অনুমতি পায়, তাহলে নিঃসন্দেহে সেই সিদ্ধান্ত যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক জয়! তৃতীয়বারের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন জাস্টিন ট্রুডো]
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তখন থেকেই গোটা বিশ্বের নজর গিয়ে পড়ে যায় সেদিকে। গত দু’দশক সেদেশে থাকার পর মার্কিন সেনা সরতেই নতুন করে কাবুলে ক্ষমতা কায়েম করে জেহাদিরা। তবে গত এক মাসে সরাসরি তালিবানকে কোনও দেশই সমর্থন জানায়নি। মনে করা হচ্ছে রাশিয়া, কাতার, পাকিস্তান ও চিনের মতে কয়েকটি দেশ ছাড়া বাকি বিশ্বে সম্ভবত স্বীকৃতি পাবে না তালিবান সরকার। আর তাই পাত্তা পেতে মরিয়া এবার রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ।