সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে কায়েম হয়েছে তালিবান রাজ। রাজধানী কাবুল দখল করার পর প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে বর্বর জেহাদিদের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এহেন পরিস্থিতিতে কাবুল বিমানবন্দর এখনও আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে। আর সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা (Afghanistan) রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এতেই বেজায় খাপ্পা জেহাদিরা। ডেডলাইন না মানলে ফল ভাল হবে না, বলে আমেরিকাকে শাসিয়েছে তালিবান।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: তালিবানের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই, British PM-এর মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা]
২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা। আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদের দৌত্যে আলোচনার টেবিলে আমেরিকার বেশ কিছু শর্ত মেনে নিয়েছে তালিবরা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আল কায়দাকে আফগানভূমে জায়গা না দেওয়া। বিনিময়ে পাহাড়ি দেশ থেকে সেনা সরিয়ে তালিবানকে নিয়ে সরকার গঠনের উদ্যোগ শুরু করে ওয়াশিংটন। কিন্তু চুক্তি করলেও কাবুল দখল করে সুর বদলেছে তালিবান। সোমবার তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলে, “প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ৩১ অগাস্টের মধ্যে আমেরিকান সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। যদি সেটা না হয়, তার অর্থ আফগানিস্তানে বাড়তি মার্কিন সেনা রয়েছে। যা থাকার কথা নয়। মনে রাখবেন, ডেডলাইন নয়, ওটা রেডলাইন।”
এই মুহূর্তে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুরক্ষায় রয়েছে অন্তত ৫ হাজার মার্কিন সেনা। এর আগে বাগরাম এয়ারবেস-সহ দেশের বেশিরভাগ জায়গা থেকে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই সেগুলির দখল নিতে শুরু করে তালিবান। আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবান। তবে সমগ্র আফগানিস্তান তালিবানের (Taliban) দখলে এলেও পঞ্জশির এখনও হাতছাড়া। পঞ্জশির তালিবানের জন্য হয়ে উঠেছে দুর্গম ঘাঁটি। তা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তালিবরা। আত্মসমর্পণ না করলে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলার হুঁশিয়ারও দিয়েছে তাঁরা। ইতিমধ্যে ওই প্রদেশে হামলা চালাতে আরও তালিবান জঙ্গি পঞ্জশিরে পৌঁছেও গিয়েছে। তবে তৈরি নর্দার্ন অ্যালায়েন্সও। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষরাও কিন্তু সেই দলে যোগ দিতে শুরু করেছে।