সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের আগস্ট মাসে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছিল তালিবান (Taliban)। তারপর থেকেই সেদেশ নিয়ে সারা বিশ্বের উদ্বেগ বেড়েছে। হাজার সমস্যায় জর্জরিত দেশটিতে তালিবান ক্ষমতায় আসায় পর থেকে, অর্থাৎ গত ছয় মাস ধরেই একপ্রকার বন্ধই ছিল সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। অবশেষে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Public University) খোলা হবে বলে জানাল তালিবান সরকার। যদিও সেখানে মহিলা পড়ুয়ারা পড়াশুনার সুযোগ পাবেন কিনা সেই বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি।
তালবান সরকারের মন্ত্রী শেখ আবদুল বাকি হাকানি (Shaikh Abdul Baqi Haqqani) একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, দেশের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলিতে ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাবে। অন্যদিকে শীতপ্রধান প্রদেশগুলির বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পঠনপাঠন শুরু হবে। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে মহিলা পড়ুয়াদের নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেননি তালিবান মন্ত্রী। উল্লেখ্য, এর আগে মহিলা ও পুরুষদের আলাদা কক্ষে শিক্ষার নিদান দিয়েছিল তালিবান।
[আরও পড়ুন: তালিবানি সন্ত্রাসের আবহে মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি]
ইতিমধ্যে দেশের অধিকাংশ উচ্চবিদ্যালয়গুলি খুলে দিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। তবে সেগুলি কেবলমাত্র ছাত্রদের স্কুল। এইসঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। তবে সেখানেও মেয়েরা পড়াশুনার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ভয়ঙ্কর আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান। এই অবস্থায় বহু দেশের কাছে বিদেশি সাহায্য চেয়েছে তালিবান। পশ্চিমের দেশগুলি তার বিনিময়ে মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টিকে নিশ্চিত করার দাবি তুলছে। যদিও এই বিষয়ে তালিবান তালিবানেই আছে।
[আরও পড়ুন: চোখের সামনে বাদ্যযন্ত্র পোড়াল তালিবান জেহাদিরা, অঝোরে কান্না শিল্পীর, ভাইরাল ভিডিও]
আগেই যানবাহনে গান শোনা নিষিদ্ধ করেছিল তালিবান। পরে বিয়েতে লাইভ মিউজিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উৎসবের ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীদের আলাদা ভাবে উদযাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তালিবান সরকারের তরফে। এছাড়াও আফগান চ্যানেলগুলির সেইসব ধারাবাহিক বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে, যেগুলিতে মহিলারা কাজ করছেন। এছাড়াও মহিলা সাংবাদিকদের হিজাব পরে খবর পড়তে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বেড়াতে যেতে পারবেন না আফগান মহিলারা। বাস ও অন্য গাড়ির চালিকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, একমাত্র ইসলামিক হিজাব পরা মহিলাদেরই তাঁরা গাড়িতে ওঠার অনুমতি দিতে পারবেন।