সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাবুল দখলের একপক্ষ কাল পেরিয়ে গেলেও সরকার গঠনে সক্ষম হয়নি তালিবান (Taliban)। অভ্যন্তরীণ কলহ ও অনভিজ্ঞতার জন্য কোন সংবিধান গ্রহণ করা হবে, তা ঠিক হয়নি। এহেন পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে যে ইরানের কায়দায় আফগানিস্তানের ‘সুপ্রিম লিডার’ পদে বসতে চলেছে তালিবানের প্রধান হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা। তার ‘উপদেশ’ মেনে দেশ চালাবে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ঘানিকে তালিবানের অগ্রগতি চেপে যেতে বলেছিলেন বাইডেন! ফাঁস গোপন ফোনালাপ]
তালিবানের কালচারাল কমিশনের সদস্য আনামুল্লা সামাঙ্গানিকে উদ্ধৃত করে আফগান সংবাদমাধ্যম Tolo News জানিয়েছে, আফগানিস্তান সরকারের প্রধান বা ‘সুপ্রিম লিডার’ হতে চলেছে আখুন্দজাদা। এই বিষয়ে সাক্ষাৎকারে সামাঙ্গানির বক্তব্য , “নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা প্রায় শেষ। ক্যাবিনেট গড়া নিয়ে সমস্ত প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। আমরা এমন একটি ইসলামিক সরকার ঘোষণা করব যা মানুষের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে সরকারের প্রধান হবেন হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা। এই বিষয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহম্মদ হাসান হকয়ারের মতে, আফগানিস্তানের নতুন সরকার প্রজাতান্ত্রিক বা আমিরশাহী হবে না। এটা মূলত ইসলামপন্থী সরকার হবে যার মাথায় থাকবে তালিবানের প্রধান হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদা। তবে সে প্রেসিডেন্ট হবে না। বরং তার অধীনে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী কাজ করবে। এদিকে, প্রদেশগুলিতে গভর্নর, পুলিশপ্রধান ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়োগ করেছে তালিবান। তবে সরকার গড়ার আলোচনা সম্পূর্ণ বলে দাবি করলেও জনসমক্ষে কিছু বলেনি জেহাদি দলটি। ফলে তালিবদের জমানায় আফগানিস্তানের (Afghanistan) জাতীয় সঙ্গীত বা জাইত্য পতাকা কেমন হবে তা জানা যায়নি।
এদিকে, তালিবানের নতুন সরকারে হাক্কানি নেটওয়ার্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতার জায়গা পেতে চলেছে। এরমধ্যে অনেকেরই নাম রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবাদী তালিকায় রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া নিয়ে হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং কান্দাহারের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যা সরকার গঠনের আগেই অস্বস্তিতে ফেলেছে তালিবানকে। তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠী। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু হাক্কানি গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, মোল্লা ইয়াকুব নাকি স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছে, যারা দোহায় তাদের প্রধান কার্যালয়ে বসে আছে, তাদের হুকুম শুনতেও সে রাজি নয়।