সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শুরুর পর থেকেই জীবন বাঁচাতে ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ। ভারতীয়দের ফেরানোর ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। এমনকী যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বহু সাধারণ নাগরিকও দেশ ছাড়ছেন। এই অবস্থায় অভাবনীয় কাণ্ড করে বসলেন এক ভারতীয় যুবক। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন। ইউক্রেনের আধাসামারিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন তামিলনাড়ুর (Tamandua) বাসিন্দা সৈনিকেশ রবিচন্দ্রন (Sainikesh Ravichandran)।
রুশ (Russia) হামলার পর থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) এমন সব ঘটনা সামনে আসছে, যা চমকে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে। ইতিমধ্যে সেদেশের বহু সাধারণ নাগরিক সেনায় যোগ দিয়েছেন। দেশপ্রেমের নতুন নজির সৃষ্টি করছে এই অসম যুদ্ধ। তবে সৈনিকেশ যা করলেন তা বাস্তবিক অভাবনীয়ই বটে। একজন প্রবাসী হয়েও ইউক্রেনের সেনায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ফের সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, এবার কি থামবে কামানের গর্জন?]
২১ বছরের যুবক সৈনিকেশ রবিচন্দ্রনের বাড়ি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে। ২০১৮ সালে তিনি খারকভের ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে কোর্সটি সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। তারপরই দেশে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই রুশ হানায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয় ইউক্রেনে। পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে দিনে দিনে। এর মধ্যে দেশ বাঁচাতে সাধারণ মানুষকে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বহু সাধারণ ইউক্রেনীয় সেনায় যোগ দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। আর সেদেশের অস্থায়ী বাসিন্দা হয়েও একই কাজ করলেন সৈনিকেশ।
সৈনিকেশের ইউক্রেনের আধাসামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়ার কথা জানাজানি হয় সম্প্রতি। এর পর তাঁর কোয়েম্বাটোরে বাড়িতে যান স্থানীয় সরকারি আধিকারিকরা। তাঁরা জানতে পেরেছেন, সৈনিকেশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বাতিল হন। এর পরেই ২০১৮ সালে খারকভের ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চলে যান।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধে নিহত রুশ মেজর জেনারেল ভিতালি গেরাসিমভ, চাঞ্চল্যকর দাবি ইউক্রেনের]
সৈনিকেশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দূতাবাসের সাহায্যে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন বাবা-মা। তখনই সৈনিকেশ জানায় যে সে ইউক্রেনের আধাসামরিক বাহিনী যোগ দিয়েছে।