সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবার আগে নাকি পেশাগত দায়িত্ব? বৃহৎ অর্থে ধরলে তা আবার যদি হয় দেশের পতাকা সামলানোর দায়িত্ব? তবে কোনটা বেছে নেওয়া উচিত? যদিও এর উত্তর নিয়ে চূড়ান্ত মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু পরিবারের আগে নিজের দেশমাতার প্রতি দায়িত্বকেই বেছে নিয়েছেন তামিলনাড়ুর মহিলা পুলিশ আধিকারিক এম মাহেশ্বরী। বাবার সৎকার স্থগতি রেখে তিনি যোগ দিলেন স্বাধীনতা দিবসের প্যারেড। তাঁর এই পদক্ষেপে মুগ্ধ সকলে।
তামিলনাড়ুর মহিলা পুলিশ আধিকারিক এম মাহেশ্বরী দিন্দিগুলের বড়ামাদুরাইয়ের বাসিন্দা। মাহেশ্বরীর বাবা নারায়ণস্বামীর বয়স হয়েছিল তিরাশি বছর। বয়সজনিত কারণে নানা ধরনের রোগে ভুগছিলেন তিনি। ১৪ আগস্ট রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। বাবার মৃত্যু সংবাদ পরিবারের তরফে তামিলনাড়ুর মহিলা পুলিশ আধিকারিককেও জানানো হয়। বাবাকে হারানোর যন্ত্রণায় বুকের ভিতরটা কেঁদে ওঠে এম মাহেশ্বরীর। মন চাইছিল শেষবার বাবার মরদেহ দু’চোখ ভরে দেখার। জড়িয়ে ধরে কাঁদার। কিন্তু আগে থেকেই যে ঠিক হয়ে গিয়েছিল তিরুনেলভেলিতে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন তিনি। দায়িত্বে অবিচল মেয়ে কথার খেলাপ করতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুর গণ্ডি ৫০ হাজার ছাড়াল, দৈনিক আক্রান্ত ও কোভিডজয়ীর সংখ্যা প্রায় সমান]
সে কারণেই ১৫ আগস্ট সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে যান তিনি। তিরুনেলভেলির ভিভিসি গ্রাউন্ডে কালেক্টর শিল্পা প্রভাকর সতীশ এবং পুলিশ সুপার এম মনিভান্নানের সামনে গার্ড অফ অনারের প্যারেডে অংশ নেন তিনি। তারপর অবশ্য আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি ওই পুলিশ আধিকারিক। সোজা বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। মেয়ের উপস্থিতিতেই পরে বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর এমন পেশাদারিত্ব দেখে তাজ্জব শীর্ষ আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: আলিগড়ে মুসলিম যুবতীকে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ, কাঠগড়ায় বিজেপি নেত্রী]
The post অগাধ দেশপ্রম, বাবার সৎকার স্থগিত রেখে স্বাধীনতার প্যারেডে যোগ মেয়ের appeared first on Sangbad Pratidin.