বাংলা: ৮৪ (শাহবাজ ২০, সন্দীপ ওয়ারিয়র ৪/২৩, বাবা অপরাজিত ২/১৮, টি নটরাজন ২/২০)
তামিলনাড়ু: ৮৫/৫ (এন জগদীশন ৩০, বাবা ইন্দ্রজিত ১৭*, মহম্মদ কাইফ ২/১২, ঈশান পোড়েল ২/৪০)
তামিলনাড়ু ৫ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগাল্যান্ডের পর বরোদা। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে জোড়া জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল বাংলা। তবে শেষরক্ষা হল না। সোমবার, ২৭ নভেম্বর শক্তিশালী তামিলনাড়ুর সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল বঙ্গব্রিগেড। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্যই পাঁচ উইকেটে হারের মুখ দেখলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লার ছেলেরা। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপক্ষের পেসারদের দাপটে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলা। জবাবে ১৯.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৮৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেন দীনেশ কার্তিকের দল।
এদিন বাংলার ব্যাটারদের চাপে রাখার কাজটা শুরু করেন সন্দীপ ওয়ারিয়র এবং টি নটরাজন। ফলে গত ম্যাচে শতরানকারী অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ ঘরামি, অনুষ্টুপ মজুমদার, অভিষেক পোড়েলরা কেউই তামিলনাড়ুর পেসারদের মোকাবিলা করতে পারেননি। শাহবাজ আহমেদ ২০ ও শাকির হাবিব গান্ধী ১৯ রান করেন। কেউই বড় রানের মুখ দেখতে পারেননি। ফলে মাত্র ২৩.৪ ওভারে ৮৪ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার ইনিংস। সন্দীপ ২৩ রানে ৪ ও ভারতের হয়ে তিন ফরম্যাট খেলা বাঁহাতি পেসার টি নটরাজন নিলেন ২০ রানে ২ উইকেট।
[আরও পড়ুন: বিরাটের জন্যই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ফাইনালের আহমেদাবাদ! বোমা ফাটালেন কামিন্স]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিলনাড়ুর পক্ষে অবশ্য চেজ করা সহজ হয়নি। কারণ বিপক্ষের ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়াতে থাকেন মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফ, ঈশান পোড়েল, আকাশদীপরা। কিন্তু হাতে কম রানের পুঁজি। তাই তিন পেস বোলার লড়াই করলেও, জয়ের জন্য যথেষ্ট রান না থাকার জন্যই, প্রতিযোগিতায় নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে লজ্জার হার হজম করল সুদীপ ঘরামির দল। ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও লড়াকু মানসিকতা দেখিয়ে নজর কাড়ল বাংলার বোলিং বিভাগ। মহম্মদ কাইফ ১২ রান ২ ও ঈশান পোড়েল নিয়েছেন ৪০ রানে ২ উইকেট। আগামী ২৯ নভেম্বর আরও একটি শক্তিশালী দল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলা।