সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বরাবরই যেকোনও বিষয় নিয়ে কড়া মন্তব্য করে থাকেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasreen)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনাও তার ব্যতিক্রম নয়। এই ঘটনায় মুখ খুলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিঁধলেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। হাজার অশান্তি হলেও ইচ্ছাকৃতভাবেই শেখ হাসিনা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ তাঁর।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু এবং বৌদ্ধরা বারবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তবে কেউই সুবিচার পাননি। অনেকেই দাবি করেন শেখ হাসিনা ধর্মনিরপেক্ষ। শেখ মুজিবর রহমানের মেয়ে হওয়ায় অনেকেই তাঁকে ভাল বলেই ভাবেন। আমি সেটা মনে করি না। তিনিই ধর্মীয় হানাহানিতে উসকানি দেন। তাই সুবিচার পান না কেউই।”
[আরও পড়ুন: হা ঈশ্বর…! চলন্ত ট্রেনে ধর্ষিতা তরুণী, প্রতিবাদ না করে ভিডিও তুলল অগণিত যাত্রী]
যদিও দোষীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তিনি বলেন, “দোষীদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে কেউ সাহস না পায়।” ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে সত্যি বলে মানতে নারাজ তসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি, ধর্মীয় হানাহানির বিরুদ্ধে সত্যিই যদি হাসিনা ব্যবস্থা নিতেন তবে কোনও ব্লগারকে খুন হতে হত না। বাড়ি এবং দোকানে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের মতো ঘটনার সাক্ষী হতেন না কেউই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিকদের প্রকৃত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন বলেও দাবি সাহিত্যিকের। তাঁর অভিযোগ, সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে জেলবন্দিও হতে হয়।
ধর্মীয় হানাহানির নেপথ্যে কি কোনও বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে, সে বিষয়েও মুখ খোলেন তসলিমা নাসরিন। তাঁর মতে, যারা ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগ করছে, তাদের কেউ বা কারা বুঝিয়েছেন যে ইসলামই একমাত্র আদর্শ ধর্ম। আর সেই বোধ থেকেই এ ধরনের কাজ করছেন তাঁরা।