সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতি (Same Gender Marriage) দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। যদিও মঙ্গলবার সমলিঙ্গে বিবাহ আইন মামলায় রায় ঘোষণা করতে গিয়ে কার্যত সমলিঙ্গ সম্পর্ককে স্বীকৃতিই দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে সমকামী যুগলরা সন্তান দত্তক নিতে পারবেন না এমনটাও জানানো হয়েছে। এর বিরোধিতা করলেন তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, “দুজন মানুষ পরস্পরকে ভালোবাসছে, তারা এক সঙ্গে থাকতে চাইছে। এ-ই কি যথেষ্ট নয় আইন তাদের কাপল বলে স্বীকৃতি দেবে? কী দরকার দেখার তাদের পোশাকের আড়ালে কোন ধরনের লিঙ্গ রয়েছে, তারা সেই লিঙ্গ দিয়ে কী করে সেক্স করবে! যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে করুক, যা খুশি করুক। সেক্স না করুক। তারা যদি সুখী, আমরা কে যে বাগড়া দেব? তারা যদি অন্যের কোনও ক্ষতি না করে তাহলে তো কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।”
[আরও পড়ুন: দেশের বিপদ, পপ তারকা টেলর সুইফ্টের বডিগার্ডের চাকরি ছেড়ে ইজারায়েলি সেনায় যুবক]
তসলিমা জানান, নিজের একাধিক লেসবিয়ান কাপল বন্ধুকে দেখেছেন গে বন্ধুদের থেকে স্পার্ম নিয়ে গর্ভবতী হতে। লেখিকার বক্তব্য, শিশুপালনের ক্ষেত্রে স্ট্রেট মেয়েদের থেকে সমকামীরা কমতি কিছু নন। বরং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা বেশিই জানেন। লেখিকার কথায়, “উভকামী, সমকামী, রূপান্তরকামী, বিষমকামী — সব কামীদেরই আছে নিজের পছন্দে জীবন যাপন করার অধিকার। সব কামীদেরই আছে নিজের পছন্দের মানুষের সঙ্গে শান্তিতে স্বস্তিতে বসবাস করার অধিকার। এই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়াটা কোনও গণতন্ত্রের কাজ নয়।”
বিয়েতে বিশ্বাস করেন না তসলিমা। তাঁর মতে এটি একটি পুরুষতান্ত্রিক ইন্সটিটিউশন। কিন্তু কেউ যদি বিয়েতে বিশ্বাস করে, বিয়ে করতে চায়, সেই অধিকারকে ১০০ ভাগ সমর্থন করেন বলেও জানান। সবশেষে তিনি লেখেন, “বিয়ে কারা করবে, বিয়ে করার পর তারা কী করে কী করবে, সেটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। ভারতের বিচারকদের উচিত ছিল সমকামী বিবাহকে লিগ্যাল করা।”
[আরও পড়ুন: নতুন নয়, বিয়ের পুরনো শাড়ি পরেই জাতীয় পুরস্কার নিলেন আলিয়া ভাট, কিন্তু কেন?]