সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশার টানে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হয়েছেন ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকী (Danish Siddiqui)। আফগানিস্তানের (Afghanistan)কান্দাহারে তালিবানদের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে ক্যামেরা হাতেই মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। পুলিৎজারপ্রাপ্ত সাংবাদিকের এই পরিণতি নিয়ে আপাতত তোলপাড় বিভিন্ন মহল। কর্ম আগে না প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ আগে? কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জীবনদর্শনের এই অমোঘ প্রশ্নও উঠছে। এসবের মাঝে কিন্তু লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) বক্তব্য অন্য বিতর্কের জন্ম দিল। ফেসবুক (facebook) পোস্টে তিনি ঘুরিয়েফিরিয়ে লিখলেন, গোঁড়া হিন্দুদের অভিশাপেই দানিশের জীবনে মৃত্যু নেমে এসেছে। তাঁর কর্মফল এগিয়ে দিয়েছে এই পরিণতির দিকে।
কী বলতে চেয়েছেন তসলিমা নাসরিন? তাঁর পোস্টটি পড়লে বোঝা যায়, দানিশের কাজকে তুলে ধরেছেন তিনি। চিত্র সাংবাদিক হিসেবে রয়টার্সের (Reuters) কর্মী দানিশের কাজই ছিল বিভিন্ন ছবি লেন্সবন্দি করা। সেভাবেই তাঁর লেন্সে ধরা পড়েছিল কোভিড জ্বরে জর্জরিত উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) গণচিতা, শ্মশানের ছবি তুলেছেন। সেসব ছবির ভয়াবহতার জন্য বিদেশে প্রশংসিতও হয়েছে। এভাবেই দানিশ করোনার (Corona Virus) অভিশাপের কথা বলতে চেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে মোদি-পওয়ার বৈঠক! কী নিয়ে আলোচনা দুই নেতার, শুরু জল্পনা]
তসলিমার বক্তব্য, সেই কারণে দানিশ গোঁড়া হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়েছিলেন। কেউ কেউ মনে করছেন, দানিশ ইচ্ছে করে হিন্দুদের অসম্মানের জন্য এসব ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। কিন্তু কীসের অসম্মান? হিন্দুদের মৃত্যুর পর দাহ (cremation) হয় শ্মশানে – এটাই রীতি। দানিশ তো সেই রীতিরই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। আর বোঝাতে চেয়েছেন, কোভিড এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করল যে শ্মশানের ‘শান্তি’ও উধাও। কিন্তু কট্টরবাদীদের তো কোনও যুক্তিতে বোঝানো যায় না, এমনই মনে করেন লেখিকা।