রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের বিজেপিকে নিয়ে বিস্ফোরক টুইট বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়ের (Tathagata Roy)। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের মতো বড়সড় অভিযোগ তুলে কার্যত বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর টুইট, বিজেপিতে এখনও নিচের তলায় এরকম অনেক PK-এর মাইনে দেওয়া কর্মী আছে। তবে এহেন বক্তব্য তাঁর নিজের নয় এবং এক বিজেপি (BJP) সমর্থকের থেকে পাওয়া বলে টুইটে দাবি করেছেন তথাগত। টুইটে তিনি উক্তি-সহ ওই কর্মীর বক্তব্য তুলে দিয়েছেন। তবে তিনি নিজেও যে একই মতামত পোষণ করেন, তা তাঁর টুইট থেকেই স্পষ্ট। এছাড়া চলতি সংসদ অধিবেশনে রাজ্যসভার ঘটনা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান নেতা। তবে সেসব ছাপিয়ে বিজেপি-তৃণমূলের আঁতাতের বিষয়টিই এই মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে।
রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণার পরও তথাগত রায় টুইটে একাধিক রাজনৈতিক সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। ত্রিপুরা পুরভোটের ফলাফলের পরও সুকৌশলে বিজেপিকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। এবার বিজেপির অন্দরে ঢুকে তৃণমূল কীভাবে কৌশল তৈরি করছে, তা উল্লেখ করে ফের সাবধানবাণী দিলেন। এতে তাঁর নিশানায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। টুইটটি ভালভাবে পড়লেই তা স্পষ্ট হবে। টুইটের শুরুতেই তা একজন একনিষ্ঠ বিজেপি সমর্থকের কাছ থেকে পাওয়া বলে উল্লেখ করে লেখা – তাঁর প্রতিবেশী যুবকের কাছে ফোন এসেছিল। তাতে প্রস্তাব ছিল, ১৩০০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হবে। বদলে বিজেপিতে যোগদান করে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে হবে। তাই ওই কর্মীর ধারণা, বিজেপিতে এখনও নিচের তলায় এরকম অনেক কর্মী আছেন যাঁদের বেতন দেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরেই চালু প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্লাস? প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার]
রবিবার ত্রিপুরায় পুরভোটের ফলপ্রকাশের পরও টুইট করেছিলেন তথাগত রায়। ওইদিন তাঁর টুইট ছিল, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের (TMC) এই পরিণতি বাংলায় বিজেপির হারের প্রতিফলন। বহিরাগতদের নেতাদের দিয়ে কোনওভাবেই নির্বাচন জেতা সম্ভব নয়। কারণ, রাজ্যের বাইরের নেতারা মানুষের আবেগ বোঝে না।” অর্থাৎ তাঁর দাবি, ঠিক যে কারণে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি, একই কারণে ত্রিপুরায় মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। আর এবার বিজেপির অন্দরে কর্মীদের ঢুকিয়ে তৃণমূল কাজ হাসিল করছে বলে বিস্ফোরক টুইট করলেন তথাগত রায়।