জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ১২ বছরের প্রেমের সম্পর্ক, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। তারপরও বিয়েতে আপত্তি তুলে বিপাকে পড়লেন পেশায় শিক্ষক (Teacher) প্রেমিক। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন বনগাঁর (Bongaon) স্কুলশিক্ষক। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন ধৃত ব্যক্তি। তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের নাম অর্পণ তরফদার। তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক৷ বাড়ি পেট্রাপোল (Petrapole) থানার হরিদাসপুর এলাকায়। ধৃত শিক্ষকের সঙ্গে এলাকারই এক শিক্ষিকার প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ ১২ বছরের। তাঁরা একসঙ্গে পড়াশোনা ও চাকরির জন্য পড়াশোনা করতেন৷ সেই সময় থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল৷ প্রাইভেট কোচিং কিংবা হাটেবাজারে তাঁদের একইসঙ্গে দেখা যেত। এলাকাবাসী তাঁদের প্রেমিক-প্রেমিকার (Couple) জুটি বলেই জানতেন।
[আরও পড়ুন: ফের বড়সড় সাফল্য এসটিএফের, গুয়াহাটি যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার প্রাক্তন কেএলও জঙ্গি]
পরবর্তী কালে দু’জনেই আলাদা আলাদা স্কুলে চাকরি পান৷ অভিযোগকারী শিক্ষিকা অন্য জেলায় চাকরি করতে যান। সেই কারণে তাঁদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ, যোগাযোগ অনেকটাই কমে যায়৷ অভিযোগ, সেই সুযোগে সম্প্রতি শিক্ষিকা-প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক অর্পণ তরফদার৷ দিন কয়েক আগে প্রেমিকা এসে অভিযুক্তকে বিয়ের কথা বলেন। অভিযোগ, বিয়ে (Marriage) করতে অস্বীকার করেন অর্পণ। এরপরেই বনগাঁ থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান শিক্ষিকা৷ বুধবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার (Arrested) করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক৷