সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট মেয়েটি স্কুলে গিয়েছিল মাথায় তিলক (Tilak) কেটে। শুধুমাত্র সেই অপরাধেই শিক্ষিকার হাতে নিগৃহীত হতে হল তাকে। এমনই ঘটনা ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir) রাজৌরিতে। নিসার আহমেদ নামে ওই শিক্ষিকাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজৌরির অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্কুলের মধ্যে এহেন ঘটনা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ছাত্রীটির বাবা আংরেজ সিং।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আংরেজের মেয়ে মাথায় তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। সেই দেখেই রেগে যান শিক্ষিকা। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, নির্দয় ভাবে ছাত্রীটিকে (Student) মারধর (Beats) করেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এছাড়াও অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করেন ওই শিক্ষিকা। হিন্দু ধর্মের আচার অনুষ্ঠান নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ওই শিক্ষিকা, এমনটাই জানা গিয়েছে। এই ঘটনার সুদূর প্রসারী প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন ছাত্রীর অভিভাবকরা। এরকম চলতে থাকলে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হবে বলেও অভিযোগ তাঁর।
[আরও পড়ুন: হলদিরামের নতুন চানাচুরের প্যাকেটে উর্দু ভাষায় লেখা কেন? ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]
ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে সঠিক আইনি পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। একটি শিশুকে কেন এইরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হল, তার সুবিচার চেয়েছেন আংরেজ সিং ও তাঁর পরিবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজৌরির কমিশনার শচীন দেব সিং জানিয়েছেন,”আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে (Teacher)। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও চলছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” যতদিন না তদন্ত শেষ হয়, ততদিন পর্যন্ত নির্বাসনে থাকবেন নিসার আহমেদ।
শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাক পরে আসা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে এই নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে ছাত্রীটির বাবা জানিয়েছেন, “এরকম চলতে থাকলে ভিন্ন ধর্মের মানুষের সঙ্গে বিরোধ অনিবার্য। আমরা সকলেই একে অপরের মাথা ভেঙ্গে দেব, যদি ধর্ম নিয়ে হিংসাত্মক কাজকর্ম চলতে থাকে।”