সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কোচবিহার ও বারাসতে শিক্ষকতার পাশাপাশি আল কায়েদা (Al-Qaeda) সদস্য। শিক্ষক পরিচয় দিয়েই জঙ্গি নিয়োগ করত দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের আবদুর রাকিব সরকার। কীভাবে চলত নিয়োগ? কার নির্দেশে চলত গোটা প্রক্রিয়া? নাশকতার ছক ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়ি থেকে বুধবার রাতে জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF) গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজন কাজি আহসান উল্লাহ, অপরজন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের আবদুর রাকিব সরকার। জানা গিয়েছে, তিন বছর উত্তরপ্রদেশে পড়াশোনা করেছে রাকিব। সেখান থেকে জঙ্গি সংগঠনের সংস্পর্শে আসে ওই যুবক। পরবর্তীতে সরাসরি জড়িয়ে পড়িয়ে জঙ্গি কার্যকলাপে। জানা গিয়েছে, কোচবিহার ও বারাসতে শিক্ষকতাও করেছে রাকিব। সেই সূত্র ধরেই শাসনে যাতায়াত ছিল যুবকের। শিক্ষকতার আড়ালেই জঙ্গি নিয়োগ করতে সে, এমনটাই খবর।
[আরও পড়ুন: ‘অনুব্রতর মেয়ে কোনও দোষ করেনি, দোষ ওর বাবার’, বীরভূমে গিয়ে মন্তব্য বিজেপি নেত্রী রূপার]
বুধবার গ্রেপ্তারির পর বৃহস্পতিবার বারাসত আদালতে তোলা হয় ধৃতদের। বিচারক তাদের ১৪ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃতেরা শাসনের খড়িবাড়িতে থেকে কোথায় যেত, কার নির্দেশে তারা এসেছিল, নাশকতার ছক ছিল কি না, নিজেদের হেফাজতে জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন এসটিএফ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ধৃত আরেক যুবক কাজি আহসান উল্লাহ আরামবাগের শান্তা গ্রামের বাসিন্দা বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকত। মাঝেমধ্যে গ্রামে গেলেও কারও সঙ্গে মিশত না। যদিও পরিবারের দাবি, প্রথমে দর্জির কাজ ও পরে পুরনো বাইক কেনাবেচার ব্যবসা করত সে। দু’জনকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনের আরও অন্তত ১৭ জনের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।