গোবিন্দ রায়: সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের ন্যূনতম নম্বর কত, তা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মধ্যে মত পার্থক্যে মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। টেট পাশের নম্বর নিয়ে আপাতত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখল তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। অর্থাৎ ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা উত্তীর্ণ হিসেবে গন্য হবেন। তৃতীয় বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর এই মুহূর্তে হস্তক্ষেপ করবে না এই আদালত।
গত ৩ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেটে সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন তাঁদের টেট উত্তীর্ণ হিসাবে গন্য করতে হবে। এবং ২০২২ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। এই রায়ই বহাল রইল আদালতে।
[আরও পড়ুন: ‘হাফ মার্ডার, ফুল মার্ডার করা হয়’, ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে খুনের সুপারি তুলছেন যুবক!]
মামলায় দাবি করা হয়েছিল, ২০১৪ এবং ২০১৭-এর টেটে সংরক্ষিত বিভাগের বহু প্রার্থী ১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছে। অর্থাৎ গড়ে ৫৪.৬৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তাঁরা। নিয়ম অনুসারে ৫৪.৬৭-কে ৫৫ নম্বর হিসাবে গন্য করতে হবে। এবং ৫৫ পেলেই এরা টেট উত্তীর্ণ হিসাবে মান্যতা পাবেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতির সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে যায় কিছু চাকরিপ্রার্থী।
মামলার রায়দানের সময় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় ডিভিশন বেঞ্চ। ভিন্নমত পোষন করেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের মতে, ১৫০ এর মধ্যে ৮২ পেলেই টেট উত্তীর্ণ বলে গন্য করতে হবে। অপরদিকে বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ৮২.৫ বা তার বেশি পেলে টেট উত্তীর্ণ বলে মান্যতা পাবে। ফলে মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর তৃতীয় বেঞ্চে। তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখলেন।