সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে অস্বীকার করেছিল এক যুবক। ফলস্বরূপ তাকে গণপিটুনি দিল স্থানীয়রা। ঘটনাট ঘটেছে বিহারের কাটিহার জেলায়। সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিও। তা ভাইরাল হতেও বেশি সময় লাগেনি।
সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন কাটিহারের আবদুল্লাপুরে একটি প্রাইমারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। সাধারণত এদিন যে কোনও অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি দেশাত্মবোধক গানও গাওয়া হয়। প্রাইমারি স্কুলটিতেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। স্কুলে সেদিন ‘বন্দেমাতরম’ গাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু স্কুলেরই এক মুসলিম শিক্ষক, নাম আফজাল হুসেন গান গাইতে অস্বীকার করেন। জানান, ধর্মীয় কারণেই তিনি ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে চান না। তিনি এও বলেন, “আমরা আল্লাহ বিশ্বাস করি। ‘বন্দেমাতরম’ এর বিরুদ্ধে। তাই আমি গাইব না।” শিক্ষকের মুখে এমন মন্তব্য শুনে মেনে নিতে পারেনি স্থানীয়রা। ওই শিক্ষককে উত্তম-মধ্যম দেয় তারা। তাতে লাভ অবশ্য কিছু হয়নি। ওই শিক্ষক কোনওভাবেই ‘বন্দেমতরম’ গাননি। উলটে বলেছেন, দেশের সংবিধানে কোথাও উল্লেখ নেই ‘বন্দেমাতরম’ গাইতেও হবে। তা সত্ত্বেও তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। এতটাই পেটানো হয়েছে তাঁকে, যে তাঁর প্রাণহানিও হতে পারত বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই শিক্ষক।
[ লাখ টাকার গোবর-ঘুঁটে চুরি, উদ্ধার করতে ঘাম ছুটল পুলিশের ]
ঘটনার জল গড়িয়েছে জেলার শিক্ষাবিভাগ পর্যন্ত। তবে বিভাগীয় অফিসার দীনেশ চন্দ্র দেব এমন কোনও অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি এনিয়ে কোনও অভিযোগ তাঁদের হাতে জমা পড়ে, তাহলে তদন্ত করে দেখবেন তাঁরা। কিন্তু এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
গত মাসের গোড়ার দিকে ‘বন্দেমাতরম’ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল মধ্যপ্রদেশে। সরকার বদলের পর সচিবালয়ে দেশাত্মবোধক গানটি গাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এনিয়ে মধ্যপ্রদেশের নবনির্বাচিত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ বলেন, যাঁরা ‘বন্দেমতরম’ গান না, তাঁরা কী দেশভক্ত হতে পারেন না? “মাসের প্রথম কাজের দিনে সচিবালয়ে বন্দেমাতরম গান গাওয়ার রীতিতে আমরা পরিবর্তন আনছি। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নতুন ভাবে চালু করারও পরিকল্পনা আছে।”
[ ‘আমাকে বদনাম করতে একজোট বিরোধীরা’, সিবিআই ইস্যুতে মন্তব্য মোদির ]
The post ‘বন্দেমাতরম’ গাইতে চাননি, শিক্ষককে গণধোলাই স্থানীয়দের appeared first on Sangbad Pratidin.