বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: স্কুলের তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অশ্লীল ছবি পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের (Student) বিরুদ্ধে। আর এই ‘অপরাধে’ তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় থানায় শিক্ষকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হল। অভিযোগ দায়ের করেছে ওই ছাত্রই। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন শিক্ষক।
কৃষ্ণনগর ডনবসকো হাইস্কুলের ফিলোজফি শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও দিলীপ সিংহ নামে ওই শিক্ষকের বক্তব্য, “স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই ছাত্র একের পর এক অশ্লীল ছবি পাঠাচ্ছিল। তাকে স্কুলে ডেকে শাসন করতে গেলে সে উলটে মারমুখী হয়ে ওঠে। তখন তাকে হালকা করে চড় মেরে শাসন করা হয়েছে মাত্র।”
[আরও পড়ুন : এবার মতুয়া মেলাতেও রাজনীতির রং, দড়ি টানাটানি শান্তনু-মমতাবালা ঠাকুরের]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রহৃত ওই স্কুলছাত্রের বাড়ি কোতোয়ালি থানার মুক্তিনগর লালমাঠ এলাকায়। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রর অভিযোগ, “আমাদের স্কুল থেকে পড়াশোনার জন্য যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে, আমিও সেটিতে রয়েছি। মাসখানেক আগে আমার পাশের বাড়ির একটি অল্পবয়সি ছেলে গেম খেলার জন্য আমার মোবাইল ফোনটি নিয়েছিল। সেইসময় সে না বুঝে একটি অশ্লীল ছবি ওই গ্রুপে পাঠিয়ে দেয়। যদিও সেটা মাসখানেক আগের ঘটনা। আমি দেখার পরই তড়িঘড়ি সেটা মুছে দিয়েছিলাম।”
ছাত্রটি আরও জানিয়েছে, “মঙ্গলবার আমাদের স্কুলের দর্শনের শিক্ষক দিলীপ সিংহ আমাকে স্কুলে ডাকেন। গত তিনদিন ধরে আমার মোবাইল থেকে একের পর এক অশ্লীল ছবি পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে স্কুলের অফিসঘরের মধ্যে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। আমি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি ছিলাম। বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছি। আমি ওই শিক্ষকের নামে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।” যদিও তার মোবাইল থেকেই যে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অশ্লীল ছবি পাঠানো হয়েছে, সেকথা স্বীকার করেছে সে।