দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফের স্কুলের অন্দরে বহিরাগতদের দাপাদাপি। ভিতরে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। চলে ভাঙচুরও। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে। অভিযোগ, স্কুলের ভিতরেই অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা করে এক শিক্ষক। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই নাকি স্কুলে জনরোষ আছড়ে পড়েছে, দাবি প্রধান শিক্ষকের। যদিও সে কথা অস্বীকার করেছেন প্রহৃত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, “১০০ শতাংশ পদক্ষেপ করা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। রিপোর্ট তলব করছি এখনই।”
এদিন নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে হানা দেয় ৫০-৬০ জনের একটি দল। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, স্কুলের টির্চাস রুমে ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকারদের মারধর করা হচ্ছে। ভাঙা হয়েছে মোবাইল। মেঝেই ছড়িয়ে কাগজপত্র। শিক্ষিকাদের কাঁদতেও দেখা গিয়েছে। স্কুলের ভিতরে কার্যত আটকে পড়েন তাঁরা। শেষপর্যন্ত নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘ফালতু যুক্তি’, মাধ্যমিকের সময় বদল নিয়ে পর্ষদকে তোপ হাই কোর্টের ]
প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনা বলে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যদিও প্রধান শিক্ষক ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, এদিনের হামলা জনরোষের প্রতিফলন। তবে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত শিক্ষক গরহাজির ছিলেন। আইন আইনের পথে চলবে বলে দাবি করেছেন প্রধান শিক্ষক।