অভিষেক চৌধুরী, কালনা: ছেলের সঙ্গে ঝগড়াঝাটির পর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন মা। রাতভর আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। একই বাড়ির বাসিন্দা হয়েও কোনও খোঁজই নেননি ছেলে। বুধবার রাতে তিনি চলে যান মামার বাড়িতে। যদিও মায়ের খোঁজ না পাওয়ার কথা মামাদের জানিয়েছেন তিনি। তারপরই পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় স্কুল শিক্ষিকার (School Teacher) ঝুলন্ত দেহ। কালনার প্রফেসর কলোনির ঘটনায় মৃতার ছেলের ভূমিকায় রহস্য।
মৃতা সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় কালনার (Kalna) স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। মৃতার একমাত্র ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, পড়াশোনা নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়শই ঝামেলা হত তার। মঙ্গলবার দুপুরেও একই ঘটনা ঘটে। ঝগড়াঝাটির পর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন তার মা। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি ওই মহিলার।
[আরও পড়ুন: বেহালায় মা-ছেলের খুনি একাধিক? উধাও হয়ে যাওয়া চাবির গোছার খোঁজে পুলিশ]
মৃতার ছেলের দাবি, বুধবার সকালে ডাকাডাকির পরেও মায়ের কোনও সাড়াশব্দ পাননি। আতঙ্কিত হয়ে কলকাতায় মামার বাড়ি চলে যান। মামাদের গিয়ে গোটা ঘটনা খুলে বলেন। বুধবার রাতে মামাদের সঙ্গে নিয়ে কালনায় ফেরেন তিনি। খবর দেওয়া হয় কালনা থানায়। খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ জাগে। বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢোকে পুলিশ। ঘরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন সকলে। দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন শিক্ষিকা।
ততক্ষণে শরীরে আর প্রাণ নেই তাঁর। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। কালনা মহকুমা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এদিকে, ওই হাসপাতালে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃতার আত্মীয়-পরিজনদের বাধার মুখে পড়েন সাংবাদিকরা। কেন বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মায়ের সাড়াশব্দ না পাওয়া সত্ত্বেও কেন মামার বাড়িতে চলে গেলেন শিক্ষিকার ছেলে, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ শিক্ষিকার ছেলের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে।