ভারত: ১৮৫/৫ (ঋতুরাজ-৫৮, স্যামসন-৪০, রিঙ্কু-৩৮)
আয়ারল্যান্ড: ১৫২/৮ (বলবিরনি-৭২)
৩৩ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের জার্সিতে অভিষেক ঘটানো ম্যাচে ব্যাট হাতে ২২ গজে নামার সুযোগ পাননি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নেমেই নিজের চেনা ছন্দে ধরা দিলেন রিঙ্কু সিং। গত আইপিএলে যে বিধ্বংসী ফর্মে দেখা গিয়েছিল তাঁকে, সেভাবেই রবিবাসরীয় ডাবলিনে অল্প সময়ের জন্য ঝড় তুললেন কেকেআর তারকা। ২১ বলে তিন ছক্কা এবং জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৩৮ রান করে ফিরলেন রিঙ্কু। তাঁর সৌজন্যেই রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় ভারত। সেই রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন অ্যান্ড্রু বলবিরনি। কিন্তু শেষ হাসি হাসল ভারতই।
বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইসের নিয়মে জয়। দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ পকেটে ভরে ফেলার লক্ষ্য ছিল জশপ্রীত বুমরাহদের। আর দলগত পারফরম্যান্সেই সেই লক্ষ্যপূরণ টিম ইন্ডিয়ার। কামব্যাক সিরিজে নেতৃত্বের দায়িত্ব নিয়েই ভারতকে ট্রফি জেতালেন বুমরাহ। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচ এখন নেহাতই নিয়মরক্ষার।
[আরও পড়ুন: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত, যাদবপুরে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য]
এদিন ডাবলিনে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান আইরিশ ক্যাপ্টেন পল স্টারলিং। ঋতুরাজ দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেও তুলনামূলক দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জশস্বী জসওয়াল (১৮) এবং তিলক বর্মা (১) বেশ হতাশ করলেন। গত ম্যাচেও নিরাশ করেছিলেন দুই তরুণ। তবে এদিন ভারতীয় শিবিরকে স্বস্তি দিল মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। সঞ্জু স্যামসনের ৪০ ও রিঙ্কু সিংয়ের ৩৮ এবং পরে শিবম দুবের অপরাজিত ২২ রানের দৌলতেই ১৮৫ রান স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে ভারত। তবে আইরিশ ওপেনার বলবিরনি যেভাবে খেললেন, তার প্রশংসা না করলেই নয়। আয়ারল্যান্ড হারলেও তাঁর অনবদ্য ইনিংস মনে রাখবেন দর্শকরা।
ওয়াশিংটন সুন্দরকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়ালেন বলবিরনি। একটা সময় ম্যাচের রাশ চলে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ডের হাতেই। তবে অর্শদীপ সিং তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোয় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ভারতীয় সমর্থকরা। তবে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান অ্যাডএয়ার। যদিও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি হোম ফেভারিটরা। এদিন রবি বিষ্ণোই, বুমরাহ ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ তুলে নেন দুটি করে উইকেট। তবে বুমরাহ, স্যামসন, ঋতুরাজদের মতো অভিজ্ঞরা থাকতেও আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বেশ কষ্ট করেই জয় পেতে হল বইকী।