সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে বকাঝকা ও সহপাঠীদের হেনস্থা অসহ্য হয়ে উঠেছিল। দিনের পর দিন স্কুলে চলতে থাকা এই ঘটনা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হল ১৩ বছরের কিশোর। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ এলাকায়। তদন্তে নেমে ওই কিশোরের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেখানে অষ্টম শ্রেণির ওই কিশোর নিজের মৃত্যুর জন্য স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীদের দায়ী করেছে।
মৃতের পরিবারের তরফে জানা যাচ্ছে, শনিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই মনমরা হয়েছিল কিশোর। রাতে খাওয়া দাওয়া না করেই শুয়ে পড়ে। রবিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নেমতন্ন ছিল বাড়ির সকলের। তবে সেখানেও যেতে চায়নি সে। বাড়িতে একাই ছিল। বাড়ির সদস্যরা বাড়ি ফিরে বার বার কিশোরকে ডাকা সত্ত্বেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। এর পর দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে দেহ। ওই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ৩ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণ’ ঝাড়খণ্ডে, পুলিশের জালে স্কুলভ্যান চালক]
খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ ওই বাড়িতে এসে উদ্ধার করে সুইসাইড নোট। যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য ওই কিশোর স্পষ্টভাবে স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীদের দায়ী করেছে। অভিযোগ, স্কুলে সকলের সামনে তাকে বকাঝকা ও নানা ভাবে হেনস্থা করতেন শিক্ষক। এমনকী সহপাঠীরাও হেনস্থা করত তাকে। যার জেরেই অপমানে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কিশোর। যদিও শারীরিক বা মানসিক ঠিক কী ধরনের হেনস্থা করা হত তাকে, তা স্পষ্ট করা হয়নি ওই নোটে। এই ঘটনায় পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর রকেট হামলা হেজবোল্লার]
এদিকে গোটা স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলে গিয়ে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। স্কুলের মধ্যে পড়ুয়াকে শিক্ষকের হেনস্থার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে স্কুলের ভূমিকা নিয়ে।