সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শখপূরণ করতে মানুষ কী-ই না করে। বলা ভাল, শখ মানুষকে দিয়ে কী কী-ই না করিয়ে নেয়। শখের মূল্য সত্যিই অমূল্য। তবে কখনও কখনও তা পাগলামির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। তেমনই এক উদাহরণ সামনে এল। এক কলেজ পড়ুয়ার শখ ছিল ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে একগুচ্ছ জিনিসপত্র কিনবেন তিনি। আর সেই শখ পূরণ করতে গিয়ে যে এমন হাল হবে, তা হয়তো তিনি নিজেও কল্পনা করেননি।
বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে ই-কমার্স সাইটের ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল। বড়দিনের আগে লোভনীয় অফার ঘোষণা করে মানুষকে আকৃষ্ট করাই উদ্দেশ্য এই সেলের। এমন লোভ সম্বরণ করা কি চারটিখানি কথা? তাও আবার এক তরুণীর পক্ষে। আরে বাবা, বন্ধুদের সঙ্গে ফ্যাশনে এককদম এগিয়ে না থাকতে পারলে কি চলে? অন্যরা এই বয়সে তরুণীর স্টাইল ও গ্যাজেটসের দিকে ঘুরে না তাকালে তো মজাই নেই। তাই তো শপিংয়ের জন্য আত্মত্যাগ করতেও কসুর করেননি নানটংয়ের এক কলেজের ছাত্রী হং জিয়া। টাকা জমিয়ে শপিং করবেন বলে জিয়া কী করলেন জানেন? শুনলে অবাক হয়ে যাবেন।
[OMG! প্রেমিককে কুচি কুচি করে কেটে রাঁধল মহিলা, মাংস কারা খেল জানেন?]
তিন সপ্তাহ ভরপেট খাওয়া-দাওয়া করা ছেড়ে দিলেন তিনি। পরিবর্তে স্বল্প দামের নুডুলস খেয়েই দিন কাটাতে শুরু করেন। হিসাব করে দেখেন, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস খেয়ে কটা সপ্তাহ চালিয়ে যেতে পারলেই কেল্লা ফতে। অনেকখানি খাবার খরচ বেঁচে যাবে। আর সেই টাকাতেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলে কিনে ফেলা যাবে পছন্দের আইটেম। কিন্তু হায়, এ কী হাল হল কন্যের! ভীষণ জ্বর এবং দুর্বলতা নিয়ে শেষে হাসপাতালে ভরতি হতে হল তাঁকে। আর যে অর্থ জমিয়েছিলেন, সব খরচ হয়ে গেল হাসপাতালের বিল মেটাতে গিয়ে। সেলে জিনিস কেনার স্বপ্নভঙ্গ তো হলই, সেই সঙ্গে বড়দিনের আগে অসুস্থ হয়ে কয়েক কিলো ওজনও কমে গেল জিয়ার।
বর্তমান প্রজন্মের অনলাইন শপিংয়ের প্রতি আসক্তি ক্রমে বেড়েই চলেছে। প্রায়দিনই নতুন নতুন অফার ঘোষণা করে ই-কমার্স সাইটগুলি এবং তাতেই হামলে পড়ে তারা। অভিভাবকদের অর্থ খরচ তো বটেই, এতে বন্ধুমহলেও বাড়ে হিংসা আর প্রতিযোগিতার মনোভাব। জিয়ার ঘটনাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, শপিংয়ের থেকে অনেক জরুরি নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। সাধ্যের মধ্যে শখ পূরণেই লুকিয়ে প্রকৃত আনন্দ।
[OMG! দেশের বাজারে দেদার বিকোচ্ছে তৈমুরের মতো দেখতে পুতুল!]
The post অনলাইন শপিংয়ের জন্য টাকা জমাতে গিয়ে এ কী হাল হল তরুণীর! appeared first on Sangbad Pratidin.