সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে বাড়ছে নাবালিকা গর্ভবতীর সংখ্যা। এর জন্য দায়ী ইন্টারনেটে সহজলভ্য পর্ন ছবি, পর্যবেক্ষণ কেরল হাই কোর্টের (Kerala High Court)। এইসঙ্গে আদালতের পরামর্শ, ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহারে শিক্ষিত করতে হবে শিশু-কিশোরদের। স্কুলগুলিতে যৌন শিক্ষা দেওয়ার বিষয়েও ভাবতে হবে।
সম্প্রতি ১৩ বছরের এক কিশোরীর গর্ভবতী হওয়ার ঘটনায় মামলা ওঠে কেরল হাই কোর্টে। নাবালিকা ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। নাবালক ভাইয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে গর্ভবতী হয় সে। এদিন বিচারপতি ভি জি অরুণ (VG Arun) কিশোরীর মায়ের আবেদনের ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেন। এইসঙ্গে মন্তব্য করেন, “মূল মামলার বিষয়ে যাওয়ার আগে জানাতে চাই, নাবালিকাদের গর্ভবতী হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ায় আমি উদ্বিগ্ন। বেশকিছু ক্ষেত্রে নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে গর্ভবতী হচ্ছে তারা। আমার মতে, স্কুলে যৌন শিক্ষাদানের বিষয় নতুন করে ভাবনাচিন্তার সময় হয়েছে।” এরপরেই বিচারপতির মন্তব্য, “ইন্টারনেটের কারণে বর্তমানে সহজলভ্য পর্ন ছবি। যা নাবালক, নাবালিকাদের মানসিকতাকে বিপথগামী করছে। ছোটদের মনে ভুল ভাবনা ঢুকছে। ইন্টারনেট তথা সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে ছোটদের শিক্ষা দেওয়া ভীষণ জরুরি।”
[আরও পড়ুন: মৃত ব্যক্তির নাম করে বার লাইসেন্স আদায়! অভিযোগের তিরে স্মৃতি ইরানির মেয়ে]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল একজন নাবালকই। এদিন আদালত কিশোরীর দ্রুত অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেয়। কারণ যত দিন যাবে তত যন্ত্রণা বাড়বে তার। অন্যদিকে কিশোরী যদি জীবিত শিশুর জন্ম দেয়, তবে শিশুটি যেন কোনওভাবেই পরিত্যক্ত না হয়, সেই বিষয়ে হাসপাতালকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সুপারকে অস্ত্রোপচারের জন্য মেডিক্যাল টিম গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি ভি জি অরুণ। তিনি বলেন, “আদালত অনুমতি দিলেও মামলাকারী নাবালিকার মা-কে নিজের দায়িত্বে ঝুঁকি বহুল অস্ত্রোপচার করাতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ধূমপানের জন্য বয়সের সীমা বাড়ল না, জনস্বার্থ মামলার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের]
উল্লেখ্য, মামলাকারী নাবালিকার মা আদালতে জানান, বেশকিছু দিন ধরে পেটের যন্ত্রণার কথা বলে মেয়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই জানা যায় কিশোরী গর্ভবতী। অপরিণত বয়সে গর্ভবতী হওয়ার কারণে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে কিশোরী, সে কথা ভেবেই অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে আদালত।