অর্ণব দাস, বারাসত: যৌন হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে (Duttapukur)। অভিযুক্তকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। আর তার মাঝে পড়েই এক কিশোরের মৃত্যু হয়। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে আরও চারজন। এ নিয়ে সকাল থেকে উত্তপ্ত দত্তপুকুরের নিবাধুই পাড়া।
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েকদিন আগে। শম্ভু নামে এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাড়ার কিশোর, যুবক ছেলেদের প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে যৌন হেনস্তা করত। ছোটদের চকোলেট দেওয়ার নাম করে এবং সদ্যযুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডাকত শম্ভু। তারপর তাদের উপর চলত যৌন নির্যাতন। কেউই সেভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি এতদিন। কিন্তু মঙ্গলবার তা প্রকাশ্যে আসে এবং তা মুহূর্তেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বিপদ বুঝে স্থানীয় বাসিন্দা সাধন দাসের বাড়িতে গা ঢাকা দেন শম্ভু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাধন দাসের বাড়ি থেকে শম্ভুকে গ্রেপ্তার করে।
[আরও পড়ুন: তোলাবাজির টাকা না পেয়ে গুলি করে খুন? ইসলামপুরে কাঠগড়ায় ‘তৃণমূল ঘনিষ্ঠ’ দুষ্কৃতী]
এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শম্ভুর মতো দুষ্কৃতীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পাড়া প্রতিবেশীরা সাধন দাসের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। দু’পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। তারই মাঝে পড়ে যুগল নামে বছর পনেরোর এক বাসিন্দা গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ে। তাতে অশান্তির আগুনে কার্যত ঘি পড়ে। যুগলের মৃত্যুর ঘটনায় সাধন দাস-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ধরা পড়েছেন সাধন দাস, অনিমা দাস ও তাঁদের দুই ছেলে ইন্দ্রজিৎ ও সুরজিৎ দাস। যুগলের এহেন মৃত্যুর ঘটনা বিশ্বাসই করতে পারছে না পরিবার। কান্নাভেজা গলায় তার বাবার প্রতিক্রিয়া, ”কিছুই বুঝতে পারছি না, কীভাবে এমনটা হয়ে গেল।”