সুমন করাতি, হুগলি: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার চুঁচুড়ায়। প্রায় চারদিন ধরে বউদির পচাগলা দেহ আগলে বসে রইল ১৩ বছরের ননদ। শনিবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চুঁচুড়ার ধরমপুর মহিষমর্দিনী তলা এলাকায়। জানা গিয়েছে, শনিবার মহিলার স্বামী ঘরের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চম্পট দিয়েছেন। ফলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দীপমালা কুমারী। বয়স ৩২ বছর। স্বামী সনুকুমার সিং ও ১৩ বছর বয়সি ননদের সঙ্গে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। বাড়ির মালিক কৃষ্ণকান্ত ঘোষ জানান, গত একমাস ধরে ভাড়ায় থাকছিলেন তাঁরা। তিনজনের কেউই ঘরের বাইরে খুব একটা বেরতেন না। কারও সঙ্গে মিশতেনও না। শনিবার হঠাৎ ওই ঘর থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহটিকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
[আরও পড়ুন: ১৪ বছরেও মেলেনি চাকরি! নবান্ন অভিযানে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চাকরিপ্রার্থীর]
পরিচয়পত্র দেখে জানা গিয়েছে, পরিবারটি বিহারের বেগুসারাইয়ের বাসিন্দা। সম্পর্কে ননদ ওই ১৩ বছরের কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলা তার বউদি ছিলেন। তাঁর দাদা সনু না কি এদিন সকালে দরজায় তালা মেরে চলে গিয়েছেন। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে ওই মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর? কেনই বা তাঁর স্বামী দরজায় তালা লাগিয়ে চলে গেলেন তা এখনও অজানা। স্বামী সনু সিংয়ের খোঁজ এখনও মেলেনি। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।