সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লাগাতার বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। প্রবল বর্ষণে ধস নামল তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে মেল্লি বাজার রোডে। ফলে কার্যত ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘুরপথে গাড়ি চলাচল করছে। তবে প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই এই রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। এছাড়াও, বৃষ্টিতে ভাসছে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি। একাধিক এলাকা জলমগ্ন। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে দোমহনি এলাকায় তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ছে জলঢাকার জল।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ২৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড বৃষ্টি। যার ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিজি রোড, সারদাপল্লি, নিউ আলিপুরদুয়ার রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার শতাধিক ঘর-বাড়িতে জল ঢুকেছে। শহরের ১,৮, ৯, ১৬, ১৩, ৫ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। শহরের ডিমা ও কালজানি নদীর চর এলাকা নদীর জলে প্লাবিত। জল বাড়ছে কালজানি, রায়ঢাক, তোর্সা, ডিমা-সহ বিভিন্ন নদীতে।
[আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায় ৭ শিশুর মৃত্যু, প্রশ্নের মুখে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ]
এদিকে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়িও (Jalpaiguri)। রাত থেকে শুরু হয়েছে মুশলধারায় বৃষ্টি। জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। জল বাড়ছে তিস্তা, করলা, জলঢাকায়। সমতলের পাশাপাশি সিকিম, ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে জলপাইগুড়ির নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায়, দফায় জল ছাড়ায় জলস্তর আরও বাড়ছে তিস্তার। তিস্তা নদীর দোমোহনি এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মেখলিগঞ্জ এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি জলঢাকা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচদপ্তর।
আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর হাওয়া অফিস। উত্তরের প্রায় সব জেলাতেই আগামী সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরের জেলাগুলিতে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে। শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়াজনিত কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।