বহু জল্পনার পর আইনি জটিলতা কাটিয়ে নির্ধারিত দিনেই এল ‘টেকো’। আমার, আপনার কিংবা আমাদের চারপাশের বাস্তব সমস্যাগুলো সিনেম্যাটিক ভাষায় ধরেছেন পরিচালক অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। লিখছেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
ছবি- টেকো
পরিচালক- অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়
অভিনয়ে- ঋত্বিক চক্রবর্তী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
চুল নিয়ে চুলোচুলি
চুল নিয়ে আমাদের যত চুলোচুলি। আপাতদৃষ্টিতে এই সমস্যা নিয়ে আমরা ঠাট্টা করলেও বিষয়টি কিন্তু রীতিমতো গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে বর্তমানে। অমুক তেল লাগালেই হবেন সুকেশী। মাখলেই ২ সপ্তাহে হয়ে যাবেন ফরসা… গ্ল্যামারাস ত্বক, স্বাস্থ্যবান লম্বা চুল কে না চান? সুন্দর হওয়ার দৌড়ে সব সময়েই দিশাহীনভাবে ছুটতে থাকি আমরা। কমবয়সি কিংবা মাঝবয়সি ছেলেদের চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা খুব একটা অজানা নয়। আর শুধু ছেলেরাই কেন, মেয়েদেরও ত্বক-চুল নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যা আমাদের রোজকার জীবনে অতি পরিচিত। আর এখানেই ফাঁদ পেতে বসে রয়েছে কোম্পানিগুলো। ক্রেতা ধরতে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে রোজ হাজার হাজার মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েই হাজার হাজার টাকা নষ্ট হয়।
সুস্থ ভাবুন, সুস্থ বাঁচুন
‘বালা’ হোক কিংবা ‘উজরা চমন’- এই দুটো সিনেমার থেকেও টলিউডের ‘টেকো’ কিন্তু সমস্যার শিকড় অবধি পৌঁছে দিয়েছে দর্শককে। সবসময়ে আমাদের ‘চাই আর চাই’। আর এই আরেকটু বেশি চাওয়ার জন্য যে কত মাশুলই না দিতে হয়, তা বোধহয় দৈনন্দিন জীবনে আমরা সবাই অল্প-বিস্তর উপলব্ধি করি/করছি/করেছি। রেজাল্ট ভাল করা, দেরি করে বিয়ে হওয়ার মতো নানা বিষয়ের জন্য হাজার হাজার টাকা জ্যোতিষীদের বাক্সে ঢালেন অনেকেই। তাতেও ফল না পেলে, আবার কারও দুয়ারে মাথা ঠেকান। এরকম সমস্যা অচেনা নয়। কিন্তু এই ‘আরও বেশি করে চাওয়া-পাওয়ার’ বিষয়টিকে খানিক মানসিক রোগের সঙ্গে তুলনা করেছেন পরিচালক। আর ঠিক সেখানেই তিনি সমাজকে বার্তা দিয়েছেন ‘সুস্থ ভাবুন, সুস্থ বাঁচুন’। পোক্ত চিত্রনাট্য। ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের রসায়নও নজর কাড়ল। মজার সংলাপ। আদ্যোপান্ত এক বাঙালি ‘টেকো’র গল্প। তবে ক্লাইম্যাক্সটা আরেকটু জমলে ভাল হত।
কেশ নিয়ে অলোকেশের আন্দোলন
অলোকেশ, নামে এক ব্যক্তির চুলের প্রতি অগাধ প্রেম। লম্বা চুলের মেয়ে ছাড়া তিনি বিয়েই করবেন না। অন্যদিকে, নিজের সেই ভাল চুলকে আরও ভাল করতে গিয়ে বিজ্ঞাপন দেখে বাজার থেকে কিনে আনেন ব্যোমকেশ নামক তেল। যা ব্যবহারের পর সেই ব্যক্তির মাথায় টাক পড়লেও, মগজাস্ত্রতে শাণ পড়ে। কীভাবে? ওই কোম্পানির তেল মেখে চুল পড়ে যাওয়ায় বেজায় চটে গিয়ে তিনি আরও ৫জন ক্রেতাকে জোগাড় করেন যাঁরা একইভাবে বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে ফেঁসে গিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। এরপর শুরু হয় কেশ নিয়ে অলোকেশের আন্দোলন। তারপর? পুরো গল্প জানতে হলে তো প্রেক্ষেগৃহমুখো হতেই হবে আপনাকে।
The post চুল নিয়ে চুলোচুলির মন ভাল করা গল্প ‘টেকো’ appeared first on Sangbad Pratidin.