সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতই চিকেনের নানা কায়দার রেসিপি হালে বের হোক, মাংস মানে কিন্তু মটন! চিকিৎসকরা নানা কথা বলবে বটে, তবে রবিবারের বাজারের পাঠার মাংসের দোকানের লাইন দেখলেই এই সত্যি আন্দাজ হয়। বিষয়টা ভূভারতে এক। তাই বলে স্ত্রী মটন রাঁধেননি বলে পুলিশে ফোন করবে স্বামী! এটা বাড়াবাড়ি। সেই বাড়াবাড়ি কাণ্ডই করেছেন তেলেঙ্গানার (Telangana) এক যুবক। যদিও ফল হয়েছে উলটো।
তেলেঙ্গানা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজব কাণ্ড করে বসা ওই যুবকের নাম নবীন। শুক্রবার রাতে সে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তবে আগেই স্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাতের মেনুতে যেন মটন থাকে। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন, কথা শোনেনি স্ত্রী, রান্না হয়নি মটন। যা দেখে বেজায় বিরক্ত হয় নবীন, বউয়ের সঙ্গে তুমুল অশান্তি করে সে। এর পরেই ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশে অভিযোগ জানায় সে।
[আরও পড়ুন: ক্ষতিপূরণের লোভে করোনায় মৃত্যুর ‘ভুয়ো’ দাবি, সুপ্রিম কোর্টে তদন্তের অনুমতি চাইল কেন্দ্র]
পুলিশ জানিয়েছে, মোট ছ’ বার ১০০ নম্বরে ফোন করেছিল নবীন। যদিও প্রথমবারেই ফোন ধরেছিল পুলিশ কিন্তু স্ত্রী মটন রাঁধেনি, এই অভিযোগ শুনে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু একই কথা বারবার ফোন করে বলায় বিরক্ত হয়ে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। শেষ রাতে হাজির হয় নবীনের বাড়িতে। সেই সময়েও নবীনকে মদ্যপ অবস্থায় পান পুলিশকর্মীরা। মটন তো জোটেইনি, উলটে সাধারণ বিষয়ে ১০০ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে হেনস্তা করায় নবীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। শনিবার সকালে মটন ও মদের ঘোর কাটার পর নবীনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জরুরি পরিষেবার অপব্যবহারের ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার উদাহরণ টেনে তেলেঙ্গানা পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এভাবে অপব্যবহার করবেন না ১০০ নম্বরের। কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই ফোন করুন। নচেত নবীনের মতো হাল হতে পারে আপনারও।
[আরও পড়ুন: লড়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, দেশ বাঁচাতে ইউক্রেনের সেনায় যোগ দিতে চান ৯৮ বছরের ‘যুবতী’]
প্রসঙ্গত, এর আগেও আজব কারণে ১০০ নম্বরে ডায়াল করার ঘটনা ঘটেছে। মাস খানেক আগেই হরিয়ানায় এক মদ্যপ ব্যক্তি মধ্যরাতে পুলিশের এমারজেন্সি নম্বরে ফোন করে বসেন। আসলে তিনি যাচাই করতে চাইছিলেন, বিপদে পড়লে সত্যিই পুলিশ বাঁচাতে আসে কিনা! পুলিশ এসেছিল এবং তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল।